Tuesday, June 29, 2010

নারী

ধুক পুক ধুক পুক বুকের ভিতর ।
বসে আছে কাল গুনে গুনে আসবে সে কবে
কবে দেখা হবে ।
সে এসে ও তো গেল চলে
দেখল না চেয়ে
কথাটি না বলে ।
নারীর মনের কথা বল দেখি তুমি ,
কে জেনেছে কবে

জনে জনে কথা বলে
হাসির দমকে ভেঙ্গে পরে ।
তার গ্রীবা ভঙ্গীমা , তার চটুলতা
মন্ত্রমুগ্ধ্ব স্তাবকের দল ,
খায় চেটে পুটে ।
কেউ তো জানে না তারা –
যত্ন সহকারে ।
রেখেছে সরিয়ে তার সে মাহেন্দ্র ক্ষন ,
যত কথা না-বলা না-শোনা
তোমার অপেক্ষায় ,
হাতে হাত রেখে চোখে রেখে চোখ ।
আর যত কাজ আছে আগে সারা হোক ।

সারা হল সব কাজ,
শেষ অতিথি গেলে ,
গভীর আশায় বুক বেঁধে ,
এসে সে দাঁড়াল কাছে।
দুরু দুরু বুকে ,
তোমার দুচোখে চোখ মেলে।

যে পথে সে গেল চলে, যে দরজা খুলে
সেই পথে চেয়ে চেয়ে নিজেকে দুষছ জানি,
কেন একবার তাকে ডাকলেনা ফিরে,
কেন তার ব্যাথাভরা চোখের তারায়
খুঁজলে না তুমি ,
যে কথা না বলা ।
কোন অসহ ক্রোধ

তোমার বুকের মধ্যে তীর হয়ে আছে ।
তুমি তো জাননা বন্ধু ;
নারী কিন্তু বোঝে ।।

Sunday, June 6, 2010

সে এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায় সারাটি দিন ,
বসে থাকি একা একা ।
কি জানি কি লিখেছে যে ভাগ্যলেখা ।
বোঝালেও কি বুঝবে নাকি
সে যে ভীষণ বোকা ।
শূণ্য ঘরের দরজা জানলা হা হা খোলা ,
কখন যে কোন আসবে ডাকাত যায়না বলা ।
কোনো কথায় কান দেবে না ছুটছে খালি ।
পার হয়ে যায় বড় রাস্তা চোরা গলি ।
কাগজের টাকার পাহাড় করছে জরো ।
ধনী তাকে হতেই হবে আরো আরো ।
ছিঁচকে চোর আর বড় ডাকাত
ঘুরছে কেবল তাকে তাকে ,
কখন সুযোগ মিলবে তারা লুঠবে কাকে ।
আমি কেবল ঘরের ভিতর বসে বসে
তাকাই মুখে , আর কতদিন সময় গেলে
মন দেবে সে আমার দিকে ।
কবে সে যে খুঁজে পাবে সেই মুলধন ,
হৃদয় জুরে আছে যা
তার পায়না নাগাল কোন চোরে -
বিলিয়ে দিলেও সে ঘর খুলে।




Saturday, June 5, 2010

তুমি এসেছিলে

তুমি এসেছিলে আমি জানি ;
আমি বুঝিনি তোমায় তাই বুঝি চলে গেলে !
কি করে কে জানে এক তীব্র ব্যাকুলতা ,
হৃদয়ের মাঝখানে নিয়েছে যে বাসা ।
কোন মায়াবলে তুমি ছুঁয়ে দিয়ে গেলে ।
ধুল-বালি কাদা-মাটি নিয়ে কারবার ,
চারি পাশে ঘিরে রাখে কত কাঁটাতার ;
ঘুরে ফিরে দেখি যদি চিহ্ন কিছু
ফেলে রেখে গেলে !
হৃদয় নিশ্চিত জানে তুমি এসেছিলে ।
এই ধুল এই বালি এই আবর্যনা ,
থাক পরে আমি সরাবনা ।
শুধু এই কাঁটাতার নিজ হাতে ছিঁড়ে -
রক্তঝরা সন্ধায় আমার সান্ত্বনা ,
আমার মাটির ঘরে কারুকে না বলে ,
তুমি এসেছিলে ।।