Sunday, August 25, 2013

বলেছ চাই তোমায়

একটু একটু   এসেছ কাছে রোজ,
আমি ফিরেও দেখিনি,
তখন পুবের আকাশে  সুর্য্য
 দেখেছি পশ্চিম গগনে তার অন্তর্ধান,
আমি জীবনের মদিরা পান করে
করেছি সুন্দরের গান
ঘুন পোকা কুরে কুরে খায়
আলমারি
,তার শব্দ শুনেছি বিনা দ্বিধায় ,
আমি পথে যেতে যেতে শব দেহ দেখে
 আহারে বলেছি কে চলে যায়।।
তুমি ছোট্টো ছোট্টো টোকা মেরে ,
ফিরে ফিরে গেছ, আমি দেখিনি তাও-
তখন জীবন ঘিরে মধুচন্দ্রিমা।
প্রাণের ভিতর কে ডেকে যায়,
আমি চাই তোমায় ।
শরীরের খেলা মাতাল করেছে
মন ঘুরে ফিরে সে খেলা চায় ।
বুঝিনি ভিতরে কে ডেকে যায়
আমি চাই তোমায় ।।
জীবন যাকে ঠকিয়ে গেল
তার কাছে এসে হাত পেতে চাও
কি দেব আর-
কঠিন আগাতে বুকের দরজা
সপাট খুলেছ-     বলেছ চাই তোমায় ।।

Sunday, August 18, 2013

আমি চলে যাচ্ছি বসুধা,



আমি চলে যাচ্ছি বসুধা,
তোমার কাছে আমি একটা বোঝা ;
অবান্তর ও বলতে পার ।
সকলের জীবনে বিবেক এর ভূমিকা থাকেনা
তোমার ও নেই ।
তোমার জীবন বর্ণ হীন , সাদা আর কালো,
তোমার জীবনে অনুভূতি, প্রেম আর ঘৃণা,
দয়া, ক্ষমা অভিমান তোমাকে জাগায় না।
অঙ্ক মেনে তোমার জীবনে, দুয়ে দুয়ে শুধু চার।।
কি করবে বল তুমি  এক দুখী আত্মা;
যদি অবশ্য আত্মা বলে কিছু থাকে কিনা
শরীরের পরে, এটা একটা বড়ো প্রশ্ন আমার কাছে;
আমি কোনও শরীরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নই;
তবুও লোকে বলে মানুষের মন থাকে ।
আমি বিদেহী বিবেক আমি তোমার মননে থাকি-
কোথায় তোমার মন বিরাজে বসুধা ;
কেউ বলে দাও দয়া করে,
কোথায় থাকি আমি;
বসুধা আমায় মুক্ত করেছে আজ
শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলে
বসুধা কি জানে, তার মন তা মানেনি ;
তবু আমি চলে যাচ্ছি– আমার বড় বেশী তেজ,
বড় অহংকার –আমি কোন ক্ষুদ্র মানুষের অঙ্গ নই,
যে আমাকে মানে আমি শুধু তার ।।



Saturday, August 17, 2013

ভগবান তুমি কেন - কোথায় যে যাও চলে,

ভগবান তুমি কেন - কোথায় যে যাও চলে,


কোথাও দুর্গা, কোথাও কালী, কোথাও গণেশ চতুর্দশী
কোথাও দশ, কোথাও বিশ, কোথাও কোথাও আরও বেশি
মানুষ চলে ঝলমলিয়ে, আলোর রোশনাই,
ভিখুর ছেলে বসে এসে ,পাড়ার পুজটায়।
খুকুমণির ভাল্লাগেনি,চপ টা দাও ফেলে,
আমায় দাওনা বসে আছি কিছু পাব বলে ।
ঈশ মাগো কি নংরা চান করিস না বুঝি,
কি আর করবি দিয়ে দে মা,
অন্য দোকান খুঁজি ।।
নংরা হাতে ভিখুর ছেলে নাকের জল মোছে।
ভাগ্য টা আজ ভাল নয় ভিখুর ছেলে বোঝে ;
কাল পুজোতে তে পুর প্যাকেট
আলুর দম, দুখান লুচি, মিষ্টি আর চপ-
দিয়েছিল এক দয়ালু খেয়েছে সপ-সপ ,
মন মনে ভিখুর ছেলে আকুল হয়ে বলে-
ভগবান তুমি কেন - কোথায় যে যাও চলে,
রোজ ই থাকতে পার, এই প্যান্ডেল টায়
তাহলে আর খাবার অভাব থাকেনা পেটটায়।।

অযাচিত

অনেক বছর পার করে অনেক টা সময় ধরে
মনে রাখা কথা-গুল বড় কষ্ট পায়,
কেন রেখেছ মনে,
কেন ছাড়নি আমায় বিস্মরণের হাতে,
কিছু কি পেয়েছ তুমি বলতো আমায়-
তবে কেন সযত্নে পালন কর
অন্ধকার তমসায় পুতি গন্ধ ময় নরকের অন্ধকারে-
ছেরে দাও ছেরে দাও যেতে দাও আমায় ।।
যেতে দিতাম তোকে রাখিনি তো মনে-
কোনো কোনো মানুষের কাছে,
অকাঙ্খিত পাওয়া, না চাইতেই অনেক অনেক
ভাল কথা রঙ্গিন মোড়কে মোরা
তখনি হটাত করে বিদ্রূপের হাসি-
আঘাত করে হৃদয়ের দরজায় ।।
কেন কেন কেন কেউ খেলা করে অপরের বিশ্বাস নিয়ে –
কি আনন্দ পায়-
আর তখনি তোদের কথা মনে পড়ে
নিম তিত –উপহার যখন আসে অযাচিত
অবজ্ঞার সাথে ভীষণ আঘাতে-
 তোকে মনে পড়ে যায় ।।

আয় তোকে রেখে আসি

কালের গহ্বরে নাকি দিকের ব্যাপ্তি-
কোথাই রাখি বল দেখি ।
ঘরের বন্ধ দরজা রাখা ঠিক নয়
তুই রেগে গেলে আমাকে
 টুকর টুকর করে
ছড়িয়ে দিতে পারিস প্রকাশ্য ঠিকানায়
তাই খুঁজি অনেক খুঁজি,
ঠিকানা অজানা অচেনা দেশ-কাল
ছট ছোটো খণ্ড খণ্ড ভাঙ্গা কাঁচের মত
অনেক দুঃখ-সুখ অনেক বেদনা, অপমান
জ্বলুক সে অজানা দেশ কালে
তারাদের মত, কেউ বা উল্কার মতন যাক হারিয়ে,
আয় তোকে রেখে আসি চেনার সীমানা ছাড়িয়ে ।।


Wednesday, August 14, 2013

আজীবন

আজীবন

আমাকে  জরিয়ে রয়েছিস আষ্টে পৃষ্টে
বাঁধনের বাঁশি নিয়ে হাতে,
যেদিন মনে হবে
আমাকে করেছিস জয়,
ফুরিয়ে গেছি সব টুকু  ‘আমি’
ছুঁড়ে ফেলে দিবি, বাঁধন নিবি খুলে ,
তবু কেন ভালবাসি, কেন মনে হয়
আমার জীবন এত নিষ্ঠুর নয় ।।
ভালবাসে আমাকে ই ভালবাসে,
মুহূর্ত মুহূর্ত আঁকড়ে ধরতে  চাই,
সবাই তো যায় চলে,
তবু কেন আমি থাকতে চাই ,
তোর সাথে আজীবন,

আমরণ নয় ।।

আমাদের অভাব টাও মুছে দিতে চাই

আমাদের ছেলেটা কে বলব ভেবেছি,
আমার জাবার পরে,
তোর বাপের মতন আমার ছবিটা আর
বাঁধাস না বাপি
কেন জানো!
তোমার বাঁধান ছবি ছোটো হতে হতে
ঠাকুরের আসনে এসেছে।
অভ্যাস মত আমি রোজ জল দিতে
আসি, ঠাকুরের সাথে সাথে তোমকে ও  ,হাসি পায় ভেবে,
 তুমি এ-বাড়িতে পুরটা জুরে ছিলে একদিন।
তোমার যাবার পরে তোমার কথা ভেবে
নিজেই কেঁদেছি, সাথ কেউ দেয়নি আমায় –
দেয়ালে বিরাট বাঁধান ছবি থেকে তুমি চেয়ে থাক
সে দেয়ালে তোমার অভাব আজ, শোভা পায়
যামিনী রায়ের নকল  , মা ও ছেলে ।।
ছোটো একটা ছবি বাঁধিয়ে দিয়েছে বাপি –
জানেনা আমি কোনও দিনের জন্য ও তোমাকে
ঈশ্বরের আসন দিইনি- কারণ তুমি আমার
ভালবাসা, গর্বের, সোহাগের –
দোষে গুনে ,  আমারই মতন ।
তোমার জায়গা আজও আমার বুক জুরে-
আমি গেলে আমাদের অভাব টাও
মুছে দিতে চাই আমাদের দুজনের বাপির

জগত থেকে ।।

ভগবান তুমি কেন - কোথায় যে যাও চলে,

কোথাও দুর্গা, কোথাও কালী, কোথাও গণেশ চতুর্দশী
কোথাও দশ, কোথাও বিশ, কোথাও কোথাও আরও বেশি
মানুষ চলে ঝলমলিয়ে, আলোর রোশনাই,
ভিখুর ছেলে বসে এসে ,পাড়ার পুজটায়।
খুকুমণির ভাল্লাগেনি,চপ টা দাও ফেলে,
আমায় দাওনা বসে আছি কিছু পাব বলে ।
ঈশ মাগো কি নংরা চান করিস না বুঝি,
কি আর করবি দিয়ে দে মা,
অন্য দোকান খুঁজি ।।
নংরা হাতে ভিখুর ছেলে নাকের জল মোছে।
ভাগ্য টা আজ ভাল নয় ভিখুর ছেলে বোঝে ;
কাল পুজোতে তে পুর প্যাকেট
আলুর দম, দুখান লুচি, মিষ্টি আর চপ-
দিয়েছিল এক দয়ালু খেয়েছে সপ-সপ ,
মন মনে ভিখুর ছেলে আকুল হয়ে বলে-
ভগবান তুমি কেন - কোথায় যে যাও চলে,
রোজ ই থাকতে পার, এই প্যান্ডেল টায়
তাহলে আর খাবার অভাব থাকেনা পেটটায়।।


Saturday, August 10, 2013

অন্তহীন

অন্তহীন

ছেলেটা বলছিল গানে গানে
গিটারের তারে টান-
সূর্য নাকি আসেনি তার কাছে
গত কাল ।
ঘন কাল মেঘে ঝর ঝর কেঁদেছে আকাশ-
তার নরম উত্তাপ, মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
তাও সে পায়নি সারাদিন-
গান তার অন্তহীন না-পাওয়ার দীর্ঘ তালিকা।
মেয়েটা মনে মনে বলে- সূর্য কেন তুমি বলনা
বোঝাও না তাকে,
আমার ঘরের এক কোনে
সন্ধ্যা বাস করে,
এক বুক আশা নিয়ে
তারাদের অগুনতি যাত্রায় চোখ পেতে।
কাল তার যাত্রার শেষ দিনে
তোমার নরম উত্তাপ-ঢেকে দিয়েছিল তার  ক্ষত।
তার জীবনের যত অহংকার অন্ধকার গলিতে হয় শেষ।।
সূর্য তুমি তাকে দিয়েছ আলো দিয়েছ উত্তাপ,
দিয়েছ তোমার স্নেহ ঢেলে
তবু অন্তহীন অভিমানে
ছেলেটা গান গায়-