Friday, June 19, 2015

সুখ

সুখ

বাগানের এক কোনে পাঁচিলের গায়
ছোট্ট ঝুমকোলতা উঁকি মেরে চায়

নামী দামী আম জাম কাঁঠালের দল
বাগানের  সব খানি করেছে  দখল

ফলের সুবাস নিয়ে  বাগান মালিক
হাসি হাসি মুখে
ফল বেচে  কতো টাকা আঁক কষে দেখে
ভরে ওঠে বুক  -
টাকা দেয় মানুষ কে এত্ত খানি সুখ

দিন যায় মাস যায় ঝুমকোলতা বাড়ে
আপন খেয়াল মতো পাঁচিলের  ধারে

কোথা হতে এলো ঝড় উথাল পাথাল
বাগান করলো নয় ছয়
হায় হায় হায়
বাগান মালিক শুধু মাথা চাপড়ায়

মালিকের ছোটো মেয়ে ফুলমণি এসে
দাঁড়ালো  সে পাঁচিলের পাশে
ছোট্ট ঝুমকোলতা পাঁচিলের গায়
বেঁচেছে তবু ও  ঝড়ে - পাঁচিল সহায়
কচি কচি পাতা আর রঙিন  ফুলেরা
ডাল পালা  মেলে  ডাকে  আয় আয়

শিশু মন ভরে ওঠে সুখে
ঝুমকোলতা দেখে.

পুতুল পুজো.

পুতুল পুজো.

সবুজ গ্রামের মাটির ঘরে  সোনার বউ পুজো করে  ,
সন্ধ্যা বেলায়  আলো ধরে  তুলসী তলায় গিয়ে  ,
শান্ত স্নিগ্ধ শীতল কুটির
গাছের পাতা ঝির ঝির ঝির
পুকুরের জল তির তির তির
আমি গিয়ে বাতাসা খাই
রোজ একটি করে  ,
শহর থেকে এলেন বিজ্ঞ
বলেন তম্বি করে ;
কিসের এত ফন্দি ফিকির
কিসের পুজো কিসের বা কি !
ওই  পুতুলে আছেটা কি
বলত খোলসা কোরে ;

সোনার বউ মিষ্টি হেসে
বলেন বিজ্ঞ বলেছেন বেশ
এ পুতুলে ঈশ্বর নেই ঠিক  -
তবু ও আছেন  - শত শত বছর ধোরে
আমাদের অন্তরে ,
পুতুল আমার ভাঙ্গে ও যদি
বিশ্বাস যে ফল্গু নদী
অন্তরেতে আছেন যিনি.
বাইরে তাঁকে এনে
করব  পুজো  নিত্য  নতুন স্থানে  ,
বাতাসা আর জল আমার মাটির গোপাল পায়  -
বসে থাকি কখন এই জ্যান্ত গোপাল এসে
সে প্রসাদ টি খায়

Friday, May 29, 2015

তুমি আর আমি শুধু

তুমি আর আমি শুধু
হাসি আর গানে ভরা  এ ই  পৃথিবীতে
বেখেয়ালে ভেসে চলে যাই
দুজনাতে বিছানাতে বকুল ছড়াই

আমাদের স্বপ্নবাসর থেকে দুরে
মাটিতে পেতেছে শয্যা যারা
দু:স্বপ্নের রাতে  -
এক মুঠো ভাতের স্বপ্ন চাই হাতে  ;

আমি আর তুমি তবু গান গেয়ে যাই
দুজনাতে দুজনা হারাই ;
আমরা জানিনি কোনো দিনও
ক্ষুধা  কাকে বলে  ,
আমরা অঞ্জলী ভোরে ভিক্ষা করিনি  ফ্যান
ভাতের বদলে

শীর্ণ শরীর আর ড্যাব ড্যাবে চোখে
চেয়ে আছে যারা,
তাদের জগতে নেই গান
শুধু কান্না ছাড়া

তুমি আর আমি তবু গাইব কি গান
আজো মধু রাতে  -
কেবলই , আমার সন্তান যেন
থাকে দুধে ভাতে

দেখি প্রকৃতির হাসি

ভালবাসা বাসি কতো হলো  বাসী
তবু দেখো হাসি এখনো
মলিন নয়
আশা ছিল যত  - তারা আজ ক্ষত
কি করে কি হলো  -
কেউ আজ কারো নয়
উদাসীর বাঁশী  ডেকে চলে গেছে
দূর নীলিমায়  মেঘের ভেলায়
দেখি  বসে তাই  .....,.হাসি
মন বলে ভালোবাসি
একে একে  সব যাবে  যে জানি তা -
তবু যারা গেল  কি করে ভুলি তা  -
কি করে  বুকের  ক্ষত  কে ভুলি
কি জোরে আবার কলম তুলি !
তাই বসে আছি
চেয়ে  আছি দুরে
মিশে গেছে  দেখি সবুজ আর নীলে
দেখি প্রকৃতির হাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি

আমার ভাইয়ের হাসি কোই

সময়ের সাথে ক্ষয়ে যাওয়া স্মৃতি
উঁকি মারে -
বারে বারে  মনের আয়নায়
ছবি ধরা পরে  -
আমি কি এতটা নিষ্ঠুর  এতটাই উদাসীন
ভাবে  আঘাত করেছি তাকে !
ভেবে ভেবে  বুক ফেটে যায় -
হায় , কেন কিছু বলিসনি আমায় -
কেন চোখে আঙ্গুল দুটো  পুরে
বলিসনি  জোরে -
একদিন  নিজের ভুল  কাঁদাবে  আমায়-
সেদিন তুই কাছে নেই  -
পরিতাপ তাই শতগুণ হয়ে
জ্বলবে  অন্তরে  -
ফিরে আয় ফিরে আয়  -
তোর প্রানের অধিক প্রিয়  -
বোন্ ডাকে  -
চলে  গেছে যে জীবন সে কি আসে  !
আকাশ বাতাস হাসে
আমি চেয়ে রই -
আমার ভাইয়ের হাসি কোই

মনের বয়স বারো

সাদা কালো ছবি
কল্পনায় আজ
রঙিন হলোকি -
আমার
মন চঞ্চল  - ঝলোকি ঝলোকি
ঝর্না ধারায়  পাথর  ডিঙ্গায়
মনের বয়স  বারো
ওরে আয় ছুটে  আরো যতো আছে  মোন
সবুজে রাঙানো  জল ছল ছল
দিঘির ধারে
মনকে আমার আজ যেন কেউ  ধরিস নারে
আমরা ছুটব  দিক বিদিক
আকাশ বাতাস তোলপার কোরে
তাথই নাচে  -  মোন সমুদ্রে  ডুব দিয়ে
যাবো  তাদের কাছে
যারা  আর আসবেনা ফিরে
তবু জানে মোন
ফিরে পাব ঠিক  যদি যাই ফিরে আরো ...
যখন আমরা সবাই ছিলাম বারো

ফুলকুমারী

শান্ত নদীর পারে ছিল ফুলকুমারীর বাসা
ফুলের মত হৃদয় ছিল হরিন চোখের ভাষা
তার সে চোখে ডুব দিয়েছে যত ছিল কুমার
সবাই লড়ে   সবাই বলে ফুলকুমারি আমার

তারপরে কি হলো বলো তার পরে কি হলো
ফুলকুমারীর  মনে এলো  দিব্য  প্রনয় আলো ,
বকুল কথার মালা গেঁথে ভাসিয়ে দিল মেঘে
মেঘ চলেছে  ভেসে সাথে সুবাস ওঠে জেগে

তারপরে কি হলো বলো
কোথায় গেল শেষে
সে ভারি এক অচিনপুরী
সে এক মহান দেশে  ,

নন্দন কানন ছিলো - নীলকন্ঠ পাখি  ,
মেঘ দিল সেই বকুল কথা পারিজাত কে ডাকি  ;
বকুল মালায় সুবাসিত আকাশ বাতাস জল
ফুলকুমারীর  সকল শরীর  সুখেতে উজ্জল

পারিজাতের সৌরভে যে  ভরলো মেয়ের  প্রাণ  ,
যাও গো যতো কুমার  -
 তোমাদের নেই এখানে স্থান
অপন্গন্ধে  পাগল মেয়ের
সুবাস ভুবন ভরা
অঙ্কুরিত মধুর প্রেমে
জগত পরে ধরা.

Saturday, May 2, 2015

নারী তুমি কে -ষোলোয়ানা পাঠক

শ্রীমতী সান্ত্বনা চ্যাটার্জ্জী

আপনার কবিতার বই এর নাম ‘নারী তুমি কে”, নারী তোমাকে নয়। অর্থাৎ নারীকে উৎসর্গ করা হলনা। নারী নিজে কী, সেটাই জানার চেষ্টা.৬৯ নং পাতায় যে কবিতাটা আছে সেটা যদি আলোচনা করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে কিছুটা অসংগতি আছে। শুধু কন্যা, ভগিনী মাতাই তো নয়, “কামনার উৎস মুখে থাকতে হলে নারীকে তো প্রেমিকা বা জায়া তো হতেই হবে। রবিঠাকুর লিখেছেন নারী “অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা”। এই কল্পনা কি প্রেমিকার দ্যোতক নয়? তাছাড়া মাতা রূপে আপনি সন্তানকে ধরেন ঠিকই কিন্তু ভগিনী রূপে?
‘এক দুই তিন’ (পৃঃ ৭৫) কবিতায় খুব সুন্দর ভাবে আপনি লিখেছেন “এ জীবনে বাঁচাটুকুই দামী”। খুবই দামী কথা। আমিও বিশ্বাস করি তাই। তবে বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার মধ্যে তফাত তো নিশ্চয়ই আছে। Existence   আর  being তো এক নয়। এই কবিতাটা একটা সত্যি গল্প মনে করিয়ে দিল। আমার এক বন্ধু অবিবাহিত থেকে গিয়েছে। কারণ, একটি নারীর হাসি, আরেকটির রূপ এবং তৃতীয়টির তীক্ষ্ণ অনুভূতি সে খুঁজেছিল একাধারে। মেলেনি এবং সে ও রয়ে গিয়েছে অকৃতদার। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিন জনের কথা, সে জানাল “বাজে কথার সময় নেই”। সময়ের সাথে কাজের কথা ও কাজের মানুষীরাও কি বাজে হয়ে যায়? কে জানে ।

আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে
১)    তোমায় মনে পড়ে
২)    বোলোনা যাই
৩)    জন্মদিন
৪)    অযাচিত
৫)    অভাব
৬)    মেয়ে আমার
৭)    আত্মজা
৮)    দাদা
৯)    যেদিন ছিলাম উনিশ কুড়ি
     আর
১০)   আমি ষোলোয়ানা পাঠক চাই

পাঠক হিসেবে আমি কেমন কে জানে, তবে আপনার “শ্রেষ্ঠ কবিতায়” এ কবিতাগুলো যেন অবশ্যই চাই।

শুভেচ্ছান্তে
বিদ্যুৎ কুমার বসু

২৯/০৪.২০১৫

অকারণ


সারি সারি দেবদারু গাছের মাঝে রাস্তা বেয়ে চলে
স্মৃতির নৌকো বেয়ে ভেসে আসে সে
তার খোলা চুল মেঘের মতন ছিল ছেয়ে 
সে যে এক সদ্য ফোটা মেয়ে
দেবদারু হওব্য়ায় দোলে .....তখন বৈশাখ
মনের আয়নায় ভাসে হরিন চোখ
সে চোখের তারায় স্বপ্ন টল টল
যেন পদ্ম পাতায় জল
দেবদারু তোমরা সাক্ষী ছিলে সে এক শীতের রাতে
হিম ঝরা বেদোনাতে আকুল কাঁদে সে মেয়ে
কার পথ চেয়ে সে ই জানে
তোমরা বোঝনি তার মানে
দেবদারু পাতা বিছিয়ে ছিলে তার পথে
সেদিন রাত্ভাঙ্গা ভোরে -
পাহাড়ী রাস্তায় যেন ঝর্নার মতো
ছুট্টে গেলো ফিরে ঘরে সে ই সদ্য ফোটা মেয়ে
সেদিন রাত ভোরে
আজ সন্ধ্যায় দেবদারু গন্ধে বিভোর এই মন
ভাবে সুখী কে আমার মতন
সে ই সদ্য ফোটা হৃদয়ের প্রেম
এখনো ছড়ায় সুবাস
সেদিনের মতো অকারণ

Saturday, April 11, 2015

আমার.. কবিতা সুন্দরী

তোমায় দেখে দূরে , দুপুরে রোদ্দুরে
গলা শুকিয়ে কাঠ
ভাবছি বলবো কি না !
আর যে পারছিনা !
তোমার প্রেমে ..... আমি তো কুপোকাত ;

এক পা দু-পা  এগিয়ে সাহস করে
ভাবছি এবার বলি  ,
তোমাকে আমি চাই  ,
আমার পুরো জীবনটাই
তোমার নামের একটি গানের কলি !

 তোমার সামনে  থেমে ,গাড়ির থেকে নেমে
কে ওই সুন্দরী
ধরল তোমার হাত
আমি তো চিত্পাত
কেমন করে এগিয়ে গিয়ে  তোমার ও হাত ধরি  !

শীত গ্রীষ্ম  বর্ষা যায় চলে
যায় ..দিন মাস বছর
আমি এখনো আছি থেমে
সে ই তীর্থস্থানে
আজও আমার মনে তুমি ই আনো ভোর !

তোমায় দেখে দূরে , দুপুরে রোদ্দুরে
আমার.. কবিতা সুন্দরী
তোমার দু হাত ধোরে
তোমায় আপন কোরে ,
শোনায় আমার কথা  ..... দিবস বিভাবরী

শহুরে মানুষ আর সবুজ হৃদয়



লাল বট ফল টুপ টাপ ঝরে পরে
কাজল দিঘির জলে মুখ দেখে মেয়ে
দিঘি তুই গভীর কত !সে কি তার
চোখের মতো - ডাক দিয়ে ডুব  দেয় চাঁদ ,
চেয়ে দ্যাখ  সোনালী সকাল হাসে  ভোরের আকাশে , সূর্য  বলে যায়
দিঘির কালো জল ভরে ওঠে   ঝরে পরা খয়েরি পাতায়
রাত যায় দিন আসে দিন ঢলে গোলাপী সন্ধ্যায়
 ,দিঘি তার মত শুয়ে থাকে
নিথর নিঝুম, বুক চাপা কান্নায়
ভেঙ্গে পরে মেয়ে ,দিঘি পারে বসে বসে
কাল বয়ে যায় , ফিরে আর আসেনা যে কেন ,
শহুরে  মানুষ    ,
সবুজ মেয়ের  অবুঝ  হৃদযে
বেঁধে রেখে গেছে  কেউ রঙিন ফানুস -
দিঘি ডাকে বুকে আয়  সব দুঃখ ভুলে
লাল বট ফল যেন ঝোরে পরে মেয়ে
দিঘির শীতল কোলে সব আশা ফেলে.

ভুলে গেছে শস্যের ঘ্রাণ

আকাশ নীল আর নেই , তাকে ঘিরে আছে ধুসর  ধুলো আর ধোঁয়া ,
কবি ,
তোমার সোনালী ধানের শিষে
বিষাক্ত হাতের ছোঁয়া
কেড়ে নেয় কৃষকের প্রাণ  !

মাঠের সবুজে কেউ আগুন দিয়েছে
সে আগুন জ্বলে তার পেটে ,
হাল -চাষী  কার খোঁজে শহরে  গিয়েছে  ,
সে যে ভুলে গেছে রসদের খোঁজে হেঁটে
শস্যের ঘ্রাণ

শেষ সে দিনের ছবি

সন্ধ্যা নামছে  দেখো ধীর পায়ে লজ্জা রাঙা ,আকাশের বুকে , 
তারা ঝিল মিল চোখ দুটি  খুলে ও খোলেনা ,
শতবার বিদায় জানায়  তাকে  , ফিরে ফিরে চায়  ,
পশ্চিম দিগন্তে  সূর্য্য  যায় অস্তাচলে 
দিন শেষে  পাখী যত ফেরে নীড়ে , 
বউ কথা কও বলে আর সে ডাকেনা ,

বড় চেনা পৃথিবী ছেড়ে  আজ যাব চলে
একবার কাছে এসে বসো , 
দুটি কথা বলো তুলে আনত নয়ন  মুখ পানে  ,
 আজ শেষ গানে  বলে যাই 
 তোমায় কি চোখে যে দেখি  , ডেকে বলে কবি  ,
চেয়ে দেখো সন্ধ্যা নেমেছে  সাথে তার
শেষ সে দিনের ছবি

Saturday, March 28, 2015

ঝরা পাতাদের পথে


ঝরা পাতাদের পথে  গেছি  যার খোঁজে  ,
জীবনের আনন্দ  সে পেয়েছে কি  খুঁজে!
ভেবেছি  বারংবার  , কোন কথা
 ব্যথা দিয়েছে  আর কার সুরে  গান গেয়েছে
হৃদয় তার  , আকাশে বাতাসে  কেবলি  তো হাহাকার  , জন্ম মৃত্যু কোথাও পাই না খুঁজে, হৃদয়ের চোখ বুঁজে  , কান্নার মতো শুনি গান তার
আমার এ  হৃদয় মাঝে  ,
কোন দিশা পেলে বয়ে গেলে কার পানে
আমি বসে থাকি  পথ  চেয়ে. নির্জনে
যতবার শুনি গান  চিনি তোকে  বলে প্রাণ
সে গান আমায় পাকে পাকে বাঁধে  -
এ প্রাণ আমার নাপাওয়ার  শোকে  কাঁদে



আমি ফিরে যাই

তোর কাছে আমি যতবার যাই
ততবার ফিরে অসি বরফ জমানো বুকে
নীরবতা সুধু ডেকে বলে যায়
ভালোবাসি ওরে বালোবাসি আমি তোকে

তুই এক পাখি  নরম হৃদয়  - উষ্ণ প্রেমের কথা  ,বলে যাই  আমি উত্তুরে  হাওয়া  তুই. বুঝিসনা সে বারতা !

দখিন হাওয়ায়  উড়িয়ে পালক  যে এসেছে কাছে তোর -  তাকে টেনে নিয়ে বুকের মাঝারে  হোক  মহা নিশি  ভোর ;

আমি ফিরে যাই শুন্য হৃদয়ে
তোর অভিযোগ নিয়ে বুকে
কি করে বোঝাই কতখানি চাই
তোর জীবন  ভরুক  সুখে  !





বৃথা ক্রন্দন

কেন যে ব্যথা পাস  শুধু
রোদে পুড়ে জলে ভিজে
আমি ও হয়েছি বড়
গাছ ফুলে ফলে  - দিয়েছি
সবুজ পাতার ছায়া
শস্যের খেতে সোনালী ফসল
আমি থেকেছি  বুক পেতে
ভালোবেসে আমায় ডেকেছে
সোনার বাংলা- শস্য শ্যামলা
কখনো আকাল  অগ্নি দহনে
পুড়েছে আমার সব  -  কখনো বা
ভেসেছে প্লাবনে
তবু আমি বাড়িয়েছি হাত  ভালোবেসে
কাছে আয় ধরা দিতে  আলিঙ্গনে
ব্যথা নেই  কাটাস না কাল
 বৃথা ক্রন্দনে

সময়ের সাথে দিল্লাগী



সময়ের সাথে দিল্লাগী


খালি মুহূর্ত গুলি চলে যায়
না ধরতে পারে দিল
মুশকিল মুশকিল
হিসাব বিহীন
না হাসি না খেলা
হারিয়ে গেল  চির তরে  হায় !

না কিছু ভেবেছি  না লিখেছি
সুধু চেয়ে থাকি
তুই আসবি কি
প্রেম আমার কাছে আয়
জীবন ফাঁকি দিয়ে যায়
মনে পরেনা  যে কবে দেখেছি

ওই নীল আকাশে গোলাপী মেঘের ভেলা
উঁকি মারে ডুবন্ত রবি
হেসে বলে কি লিখেছ কবি !
দিল বলে   হায়
সময় হারিয়ে যায়
ফিরে আর  আসেনা যায় বয়ে যে  বেলা  !

তাই অন্তর্মুখী  মন দিল্লাগী করে সারাক্ষণ
যায় যাক সময়
যার সাথে  এ প্রণয়
সে ঠিক বুঝেছে - নারী
আমি  জীবন দিতে পারি
 বেলা অবেলার খেলা তবু করবনা সমাপন!







ধরিত্রীর মতো সর্বংসহা মা আমার

 আমাকে ও কেউ ভালবেসেছিল
মার স্নেহে টেনে নিয়েছিল কোলে
কোনো এক বৃষ্টি ভেজা রাতে
ফুটপাথে  রাস্তার ধারে সদ্যজাত
শিশুটিকে  ছেড়া  আঁচলের  তলে
ঢেকেছিলে , স্নেহের ওমে মাখো মাখো
আমি চেয়েছি তোমার মুখে  -
কে  তুমি স্নেহময়ী  , ফেলে দেওয়া
ভার  নিজ হাতে তুলে নিলে
ভিখারিনী  জননী  তুমি কার ,
ধরিত্রীর  মতো সর্বংসহা  মা আমার !

জয় গোস্বামীর জন্য




জয় গোস্বামীর জন্য


জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি রাস্তা বয়ে যায়
কত রকম গাড়ি , কেউ বা রিক্সায়
চলার নাম জীবন  - সময়  দাঁড়ায় না -
জিততে যদি চাস জীবন এগিয়ে চলে যা
আমিও চলি .. পা চলেনা  .. মন
হওয়ায় ওড়ে মেঘের কোলে যথেচ্ছা  ভ্রমন
মেঘের সাথে জয় কে দেখি
কেমন চলে যায়  ...কালির সাথে মন চলে  তার  ... পাতায় পাতায়
জয় কে ? আরে তাও জানোনা - কবি সে গোস্বামী  , আমার সাথে তার তুলনা  হয়না? আমি জানি !
তবু ও ভাবি ..রাস্তা কেন ..চলতে যদি হয়
এমন ভাবে ই  কলম কালির  হোক না পরিচয়
জীবনের দিন শেষের পথে  ..অনেক হলো চলা
জমে জমে পাথর হোলো অনেক না-বলা
সে সব কথা ছন্দে চলে ..তাল মিলিয়ে পা
হোক শুরু আজ  ... মন রে আমার  যা এগিয়ে যা.















Sunday, March 8, 2015

সূর্য ডোবার বেলা

খোলা  বারান্দার কোনে বসে
দেখেছি অন্যমনে
জলহীন মেঘের খেলা
সূর্য ডোবার বেলা
দেখেছি রঙের খেলা ...
সাদা মেঘে গোলাপী সোনায় ,
খোলা জানলায় অধীর আগ্রহে 
দেখেছি  রাত্রি  শেষে
সোনালী আকাশে রক্তিম সূর্য কে
বারে বারে ডাকি
আয় এই ঘরে
অর্চিষ্মান - এখানে রয়েছে শুয়ে
আমার মামনি
তো কে  ডেকে ডেকে 
দিন চলে  যায়
মিথ্যা আশায় ;
তুই এলিনা কেন
এই জানলায় ,
খোলা বারান্দায়  তোকে  ডুবে  যেতে
দেখি রোজ অনন্ত  যাত্রায়  . 

স্মৃতি সাগরে

কি আছে দূর নীলিমায় মিশে!
কি আছে সবুজ ঘাসের ডগায় 
কি আছে সোনালী ধানের শিষে 
কি বা আছে সাগরের গরিমায

ভাঙ্গা এ হৃদয় 
হারানো ভলোবাসা 
ফেলে আসা সুখ
আমার পরিচয় 

পথ বেয়ে চলে গেল যারা
কালের পিছনে অন্ধকারে মিশে 
মনের গভীরে ভাসে তারা 
ধরা দিলনা বাহুপাশে 

আকাশে বাতাসে গাছের শাখায় 
দোলে ছোটো ছোটো সুখ 
আমি নীলিমায় 
চোখ রাখি 
স্মৃতি সাগরে দেখি মুখ 

মৃত্যু কতো কাছ দিয়ে চলে গেলে

মৃত্যু কতো কাছ দিয়ে চলে গেলে
এখন ভাবলে মিথ্যা মনে হয়
মনে হয় আসনি তুমি 
শুধু ছায়া ফেলে ছিলে 
তবে কেন কেউ জীবন কে ধরে রাখে 
মৃত্যু তুমি অসহনীয় যন্ত্রণা রূপে
ছুঁয়ে , জীবন কে মিথ্যা বলে গেলে, 

তোমার ছুঁয়ে থাকা দন্ডে দন্ডে পলে পলে 
তোমার হীম অশ্রুজলে 
পিচ্ছল জীবন ,
বুঝে ও তবু না বোঝার ভাণ 
জানি থাকবেনা 
তবু আঁকড়ে রাখি প্রান 
যতদিন আছে থাক
ডেকোনা আমায় 
এখনো যে হয়নি সময় 
এখনো অনেক বাকি 
কতকিছু হলনা যে শুরু 
শেষ দেখা বাকি আছে কতো
ফিরে যাও ফিরে যাও 
জীবন কে ভালবাসতে দাও
আরো কিছু দিন 
পূর্ণ করতে হবে প্রতিশ্রুতি কত 
বাকি আছে ঋণ 
দয়া করো আজ যাও 
এসো পরে অন্য কোনো দিন 

শুধু মাত্র তোকে ফিরে চাই

আজ তুই কত দুরে 
কোন সে স্বপ্ন পুরে 
একা নাকি সঙ্গী আছে আরো !
কেন তুই গেলি চলে 
নিষ্ঠুর কথা বলে 
নিজের জগত নিজে গরো !

আমি অতি সাধারণ 
এক ই পথে বিচরণ 
তোকে বিনা শুন্য পৃথিবী 
এখন একলা বসে 
জীবন অঙ্ক কষে 
বুঝে গেছি নেই অন্য গতি 

তাই পথ চেয়ে থাকি 
ফিরে কেউ আসবে কি 
সূর্য পাটে নেমে গাছে ওই 
আকুল ব্যাকুল প্রাণ 
শুধু করে আন চান 
আমার সে চোখের আলো কোই 

ফিরে আয় ফিরে আয় ফিরে আয় বুকে 
স্নেহের আঁচলে দেবো ঢেকে 
যত কষ্ট তোর 
আমার না বলা কথা 
বুক ফাটা কষ্ট ব্যথা 
হবে নাকি ভোর !
যাসনা যাসনা ছেড়ে 
ফিরে আয় মাতৃ ক্রোড়ে 
ওরে অভিমানী 
যতো ডাকি যতো কাঁদি 
আছে আরো কত বাকি 
আমি কি তা জানি !

যাক সব রসাতলে 
পুড়ে যাক দাবানলে 
সব কিছু পুরে হক ছাই 
শুধু তুই আয় ফিরে 
সব স্বপ্ন তোকে ঘিরে 
শুধু মাত্র তোকে ফিরে চাই