Friday, May 29, 2015

তুমি আর আমি শুধু

তুমি আর আমি শুধু
হাসি আর গানে ভরা  এ ই  পৃথিবীতে
বেখেয়ালে ভেসে চলে যাই
দুজনাতে বিছানাতে বকুল ছড়াই

আমাদের স্বপ্নবাসর থেকে দুরে
মাটিতে পেতেছে শয্যা যারা
দু:স্বপ্নের রাতে  -
এক মুঠো ভাতের স্বপ্ন চাই হাতে  ;

আমি আর তুমি তবু গান গেয়ে যাই
দুজনাতে দুজনা হারাই ;
আমরা জানিনি কোনো দিনও
ক্ষুধা  কাকে বলে  ,
আমরা অঞ্জলী ভোরে ভিক্ষা করিনি  ফ্যান
ভাতের বদলে

শীর্ণ শরীর আর ড্যাব ড্যাবে চোখে
চেয়ে আছে যারা,
তাদের জগতে নেই গান
শুধু কান্না ছাড়া

তুমি আর আমি তবু গাইব কি গান
আজো মধু রাতে  -
কেবলই , আমার সন্তান যেন
থাকে দুধে ভাতে

দেখি প্রকৃতির হাসি

ভালবাসা বাসি কতো হলো  বাসী
তবু দেখো হাসি এখনো
মলিন নয়
আশা ছিল যত  - তারা আজ ক্ষত
কি করে কি হলো  -
কেউ আজ কারো নয়
উদাসীর বাঁশী  ডেকে চলে গেছে
দূর নীলিমায়  মেঘের ভেলায়
দেখি  বসে তাই  .....,.হাসি
মন বলে ভালোবাসি
একে একে  সব যাবে  যে জানি তা -
তবু যারা গেল  কি করে ভুলি তা  -
কি করে  বুকের  ক্ষত  কে ভুলি
কি জোরে আবার কলম তুলি !
তাই বসে আছি
চেয়ে  আছি দুরে
মিশে গেছে  দেখি সবুজ আর নীলে
দেখি প্রকৃতির হাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি

আমার ভাইয়ের হাসি কোই

সময়ের সাথে ক্ষয়ে যাওয়া স্মৃতি
উঁকি মারে -
বারে বারে  মনের আয়নায়
ছবি ধরা পরে  -
আমি কি এতটা নিষ্ঠুর  এতটাই উদাসীন
ভাবে  আঘাত করেছি তাকে !
ভেবে ভেবে  বুক ফেটে যায় -
হায় , কেন কিছু বলিসনি আমায় -
কেন চোখে আঙ্গুল দুটো  পুরে
বলিসনি  জোরে -
একদিন  নিজের ভুল  কাঁদাবে  আমায়-
সেদিন তুই কাছে নেই  -
পরিতাপ তাই শতগুণ হয়ে
জ্বলবে  অন্তরে  -
ফিরে আয় ফিরে আয়  -
তোর প্রানের অধিক প্রিয়  -
বোন্ ডাকে  -
চলে  গেছে যে জীবন সে কি আসে  !
আকাশ বাতাস হাসে
আমি চেয়ে রই -
আমার ভাইয়ের হাসি কোই

মনের বয়স বারো

সাদা কালো ছবি
কল্পনায় আজ
রঙিন হলোকি -
আমার
মন চঞ্চল  - ঝলোকি ঝলোকি
ঝর্না ধারায়  পাথর  ডিঙ্গায়
মনের বয়স  বারো
ওরে আয় ছুটে  আরো যতো আছে  মোন
সবুজে রাঙানো  জল ছল ছল
দিঘির ধারে
মনকে আমার আজ যেন কেউ  ধরিস নারে
আমরা ছুটব  দিক বিদিক
আকাশ বাতাস তোলপার কোরে
তাথই নাচে  -  মোন সমুদ্রে  ডুব দিয়ে
যাবো  তাদের কাছে
যারা  আর আসবেনা ফিরে
তবু জানে মোন
ফিরে পাব ঠিক  যদি যাই ফিরে আরো ...
যখন আমরা সবাই ছিলাম বারো

ফুলকুমারী

শান্ত নদীর পারে ছিল ফুলকুমারীর বাসা
ফুলের মত হৃদয় ছিল হরিন চোখের ভাষা
তার সে চোখে ডুব দিয়েছে যত ছিল কুমার
সবাই লড়ে   সবাই বলে ফুলকুমারি আমার

তারপরে কি হলো বলো তার পরে কি হলো
ফুলকুমারীর  মনে এলো  দিব্য  প্রনয় আলো ,
বকুল কথার মালা গেঁথে ভাসিয়ে দিল মেঘে
মেঘ চলেছে  ভেসে সাথে সুবাস ওঠে জেগে

তারপরে কি হলো বলো
কোথায় গেল শেষে
সে ভারি এক অচিনপুরী
সে এক মহান দেশে  ,

নন্দন কানন ছিলো - নীলকন্ঠ পাখি  ,
মেঘ দিল সেই বকুল কথা পারিজাত কে ডাকি  ;
বকুল মালায় সুবাসিত আকাশ বাতাস জল
ফুলকুমারীর  সকল শরীর  সুখেতে উজ্জল

পারিজাতের সৌরভে যে  ভরলো মেয়ের  প্রাণ  ,
যাও গো যতো কুমার  -
 তোমাদের নেই এখানে স্থান
অপন্গন্ধে  পাগল মেয়ের
সুবাস ভুবন ভরা
অঙ্কুরিত মধুর প্রেমে
জগত পরে ধরা.

Saturday, May 2, 2015

নারী তুমি কে -ষোলোয়ানা পাঠক

শ্রীমতী সান্ত্বনা চ্যাটার্জ্জী

আপনার কবিতার বই এর নাম ‘নারী তুমি কে”, নারী তোমাকে নয়। অর্থাৎ নারীকে উৎসর্গ করা হলনা। নারী নিজে কী, সেটাই জানার চেষ্টা.৬৯ নং পাতায় যে কবিতাটা আছে সেটা যদি আলোচনা করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে কিছুটা অসংগতি আছে। শুধু কন্যা, ভগিনী মাতাই তো নয়, “কামনার উৎস মুখে থাকতে হলে নারীকে তো প্রেমিকা বা জায়া তো হতেই হবে। রবিঠাকুর লিখেছেন নারী “অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা”। এই কল্পনা কি প্রেমিকার দ্যোতক নয়? তাছাড়া মাতা রূপে আপনি সন্তানকে ধরেন ঠিকই কিন্তু ভগিনী রূপে?
‘এক দুই তিন’ (পৃঃ ৭৫) কবিতায় খুব সুন্দর ভাবে আপনি লিখেছেন “এ জীবনে বাঁচাটুকুই দামী”। খুবই দামী কথা। আমিও বিশ্বাস করি তাই। তবে বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার মধ্যে তফাত তো নিশ্চয়ই আছে। Existence   আর  being তো এক নয়। এই কবিতাটা একটা সত্যি গল্প মনে করিয়ে দিল। আমার এক বন্ধু অবিবাহিত থেকে গিয়েছে। কারণ, একটি নারীর হাসি, আরেকটির রূপ এবং তৃতীয়টির তীক্ষ্ণ অনুভূতি সে খুঁজেছিল একাধারে। মেলেনি এবং সে ও রয়ে গিয়েছে অকৃতদার। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিন জনের কথা, সে জানাল “বাজে কথার সময় নেই”। সময়ের সাথে কাজের কথা ও কাজের মানুষীরাও কি বাজে হয়ে যায়? কে জানে ।

আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে
১)    তোমায় মনে পড়ে
২)    বোলোনা যাই
৩)    জন্মদিন
৪)    অযাচিত
৫)    অভাব
৬)    মেয়ে আমার
৭)    আত্মজা
৮)    দাদা
৯)    যেদিন ছিলাম উনিশ কুড়ি
     আর
১০)   আমি ষোলোয়ানা পাঠক চাই

পাঠক হিসেবে আমি কেমন কে জানে, তবে আপনার “শ্রেষ্ঠ কবিতায়” এ কবিতাগুলো যেন অবশ্যই চাই।

শুভেচ্ছান্তে
বিদ্যুৎ কুমার বসু

২৯/০৪.২০১৫

অকারণ


সারি সারি দেবদারু গাছের মাঝে রাস্তা বেয়ে চলে
স্মৃতির নৌকো বেয়ে ভেসে আসে সে
তার খোলা চুল মেঘের মতন ছিল ছেয়ে 
সে যে এক সদ্য ফোটা মেয়ে
দেবদারু হওব্য়ায় দোলে .....তখন বৈশাখ
মনের আয়নায় ভাসে হরিন চোখ
সে চোখের তারায় স্বপ্ন টল টল
যেন পদ্ম পাতায় জল
দেবদারু তোমরা সাক্ষী ছিলে সে এক শীতের রাতে
হিম ঝরা বেদোনাতে আকুল কাঁদে সে মেয়ে
কার পথ চেয়ে সে ই জানে
তোমরা বোঝনি তার মানে
দেবদারু পাতা বিছিয়ে ছিলে তার পথে
সেদিন রাত্ভাঙ্গা ভোরে -
পাহাড়ী রাস্তায় যেন ঝর্নার মতো
ছুট্টে গেলো ফিরে ঘরে সে ই সদ্য ফোটা মেয়ে
সেদিন রাত ভোরে
আজ সন্ধ্যায় দেবদারু গন্ধে বিভোর এই মন
ভাবে সুখী কে আমার মতন
সে ই সদ্য ফোটা হৃদয়ের প্রেম
এখনো ছড়ায় সুবাস
সেদিনের মতো অকারণ