Friday, December 25, 2009

আজকের ডাক্ষার


তোমার হাটে মৃত্যু, তোমার হাতে জীবন ।
সার দিয়ে শুয়ে আছে কংকাল শরীর ,
কোন দিকে টেনে নিয়ে যাবে তাকে !
মৃত্যুর হাটে !
নাকি মঙ্গলময় হাতে তার ফেরাবে জীবন !
মানুষের হাড়-মাস-চামড়া নিয়ে কারবার তোমার
দু-চোখ জ্বলে শকুনের মত ।
কত, কত, কত টাকা এনে দেবে
এক একটা শরীর যেন রত্নভান্ডার ।
খুঁড়ে খুঁড়ে, কেটে ছিঁড়ে
রক্তাক্ত দু-হাত,
তবু শ্রান্তি নেই, নেই ক্লান্তি ।
আরো, আরো, আরো চাই ,
রক্তশোষা বাদুরের ধারালো দাঁত তোমার ।
হায় ! একদিন তুমি ছিলে মানুষের ভগবান -
তুমি আজকের ডাক্তার ।।

Tuesday, December 22, 2009

সুরে সুরে

বিশ্বাস তো নিজেকে করাই মুশকিল,
পরের কথা তো দূরে,
আজকের ভালবাসা
থাকেনা জীবন জুরে ।।

অনেক প্রেমের কথা- ইনিয়ে বিনিয়ে বলা,
দেহের আগুনে পুড়ে
একসাথে পথ চলা,
একদিন যায় থেমে ।

আবেগের রাশ টেনে -দুজনে দুদিকে চলা ;
হঠাত-ই বুকের মাঝে,
নতুন ছোট্টো ব্যাথা
কোথা থেকে আসে নেমে ।

পিছনে তাকিয়ে দেখি কত নদী গেছে বয়ে ,
সাগরের পথ ধরে ।
ছোটো ছোটো যত ঢেউ,
খুঁজেছি হন্যে হয়ে ।

আগে পিছে নেই সেতো- আছে যে অন্তঃপুরে,
সেখানে দরিয়া-দিলে
তোমার বাঁশিটি বাজে
চির চেনা সেই সুরে ।

যে সুরে জীবন জাগে, যে সুরে মরন নামে,
আঁধারে-আলোতে ,
জোয়ারে-ভাঁটায়
বাজে সে হৃদয় জুরে ।।

Wednesday, December 2, 2009

মা


তুমি নগ্ন অসহায়, ফুটপাথে বসতি বানাও,

বিগবাজার, সাউথ সিটি মল,

ফুটপাথে এক হাঁটু জল।

কিছু টাকা পেয়েছ হয়তো তুমি

আমার করুণায় ।

আমি স্বর্গের সিঁড়ি তৈরী করি

ছোটো ছোট দানে ।

জর্জেট সারী, জরি-বুটি, রুবির রক্ত ঝরে কানে ।

অনেক পেয়েছি আমি,

বাড়ি, গারি, সোনা,

তবু আমি স্বর্গের সিঁড়ি খুঁজে ফিরি।

স্বর্গের সিঁড়ি বুঝি এই কটা,

তাকে হাতে যায় গোনা !

তোমার শুকনো বুকে মুখ গুঁজে কেঁদে মরে মেয়ে,

আমার সিক্ত বুকে টন টনে ব্যাথা-

কি করে বোঝাই আমি,

ফেলে গেছি একরাতে তোমার পায়ের কাছে

আমার সদ্যোজাত মেয়ে ।