আমি যে পাগল নই আর সবার মতন
মানুষ শুধু মেয়েমানুষ নই–সে কথা বোঝাতে বোঝাতে
একে তাকে সব্বাইকে হাঁড়ির হাল । মাঝে মাঝে
মনে হয়, পাগলা গারদে জন্মেছি আমি আর আমার
সন্তানেরা । মা বলেন, ভাবিসনা কনা –মালক্ষ্মী
ভরিয়ে দেবেন ঝাঁপি তোর ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে । লক্ষ্মী
না হলেও কার্ত্তিক ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে আমায়।
পাঁচবারে পাঁচটি প্যাঁকাটি কালো কন্যা বাড়ির আগাছা ।
অলক্ষ্মীর মুখে ঝ্যাঁটা মেরে তাই ষষ্ঠীর আয়োজন ।
যত বলি – ভুল হচ্ছে তোমাদের –লোকটিকে নিয়ে
যাও বদ্যির কাছে-পরীক্ষা দরকার ।এ সব আকাশের
দেবতার কর্ম্ম নয় । এ তো দেখছি বড় ভয়ানক
পাগল , অবিশ্বাসী, শয়তান মেয়েছেলে । এবারেও
যদি ছেলে না বিয়াস, পাঁচ মেয়েকে তোর মারব
গলা টিপে । তাই আজ পাঁচ মিনিটেই পাগল হয়ে
হনুমানের মতন নিজের আঁচলে দিয়েছি আগুন-
পোড়াতে হবে এই লঙ্কাপুরী ,সাথে নিয়ে পাঁচ অভাগী
কন্যা, পেটে আর এক ; আর এ সবের জনক আমার
ঠাকুরটি- নিশ্চিন্তে নিদ্রামগ্ন , পায়নি টের আগুনের
মাঝে তার শোবার আয়োজন ।
No comments:
Post a Comment