হারুর বাড়ির চারতলাতে খুলেছে এক কারখানা ,
নকলনবিশ তৈরি হবে এক সাথে রোজ চারখানা ।
প্রথম ব্যাচে চশমা চোখে
মধু-বিধু-যদু-বুড়ু ,
ডাক্তারিতে নকলনবিশ খেতাপ পেয়ে-
করল শুরু ডাক্তারি এই পেশাটা ,
জমছে ভাল নেশাটা ।
পরের ব্যাচে নীলা-শীলা
হল প্রধান শিক্ষিকা ,
সঙ্গে ছিল রিয়া-টিয়া
মধুর সঙ্গে মক্ষিকা ।
হারুর মেয়ে হ্যাংলা নেড়ি
টুকছে দেখে পরীক্ষায় ,
মারল শীলা ছাতার বাড়ি
আঘাত হল অধিক তায় ।
নেড়ির কান্না শুনতে পেয়ে
স্ট্রাচার নিয়ে জলদি গিয়ে -
করল মধু চিকিতসা
যদুর তাতে কী ঈর্ষা ।
ওষুধ খেয়ে হারুর মেয়ে
যেই না পটল তুলল হায় ,
ডালের সঙ্গে ভাজা করে
খেয়ে নিল যদু রায় ।
পটল খেয়ে বদহজমে
চোঁয়া ঢেকুর তুলল যেই ,
ঠুকে দিল মকদ্দমা -
মানহানি এই মামলাতেই ।
হারুর উকিল সাধু ,সে তো
নকলনবিশ খেতাপধারী ,
চলতে নারে একপা হঠাত
হল যেন পায়া ভারি ।
হাকিম হাঁকেন আসামী কৈ-
নিয়ে আস এক্ষুনি ।
ছুটে গিয়ে আনল ধরে
অসমবাসী হাকিম কেই ।
বেড়ির মাথায় চুল কেন হয়-
এই না নিয়ে বচসায় ,
মধু গেল মারা তখন
পরল ধরা যদু রায় ,
হারুর কাছে খবর গেল
নকলনবিশ কারখানায় ,
ফাঁসীর দড়ি টানার জন্য,
নকল নবিশ প্যায়দা চাই ।
নকল নবিশ প্যায়দা বলে
আসল খুনী চলবে না ,
নকলনবিশ খুনি ছাড়া
ভবি তো ভাই ভুলবে না।
হারুর বাবা বিদেশ থেকে
এসে জান করল কি ?
নকিলনবিশ কারখানাটার
বন্ধ করল ভর্তুকি ।
কারখানাটা বন্ধ হতে
সবার পরল মাথায় হাত ,
বন্ধ হল রোজগার আর
বন্ধ হল পেটের ভাত ।
গল্প আমার শেষ হল না শুরু
তোরা বল দিকি ?
ঠিক যদি হয় বলব এরা
নকল নবিশ নয় দেখি ।।
No comments:
Post a Comment