মনের মানুষ পনের বা পঞ্চাশে
মনের বাগানে ফোটা গোলাপটি যেন ।
না-পাওয়ার ব্যথা বাজে গোলাপ-কাঁটায় ;
গোলাপের গন্ধে-রূপে হৃদয় হারায় ;
হাতে পেলে একে একে
পাপড়ি ঝরে যায় ।।
মনের মানুষ পনের বা পঞ্চাশে
মনের আয়নায় ধরা প্রেমিকের ছায়া ।
ধরা পরে বাহু-পাশে,
রাত্রি দিন সহবাসে,
বিমূর্ত প্রণয় যদি দেহ খুঁজে পায়
দেহের আড়ালে প্রেম কোথায় হারায় ।
পনেরতে মন বড় কোমল বিশ্বাসী –
বেল-কুঁড়ি যেন, সদ্য ফোটা যুঁই হয়ত বা ।
ভালবাসা হতে ধরতে চায় ।
এখানে সেখানে মন
মনের মানুষ খুঁজে পায় ।
বারে বারে স্বপ্ন ভাঙ্গে চূড় চূড় হয়ে-
খুঁজে ফেরে আপন জন ,
আপন অন্তরে দেখা অরূপ রতন ।
সে কি জানে সেই রূপ
ক্ষণিকের মায়া মাত্র
হৃদয়ের ছায়া ।
সে বোঝেনা চির কাল অন্দরমহল
নিজের ই তো থাকে ।
হন্যে হয় খোঁজে যাকে ,
সে নেই অন্য কোন ঘরে ,
সে আছে সেখানে সেই তারই অন্তরে
প্রকৃতি-পুরুষ যেন এক সূত্রে বাঁধা ।
পঞ্চাশে এসে তবু কেন মনে ধাঁধা –
কেন তাকে পায় না সে খুঁজে ।
একবার চোখ বুজে নিজের অন্তরে
চেয়ে দেখে যদি, সেখানে রয়েছে বসে
দু-হাত বাড়িয়ে –
রয়েছে সবিতা ।
শুরু হয় শেষের কবিতা ।।
No comments:
Post a Comment