আশায় আশায় বসে আছি দিন গুনে আর পথ চেয়ে
নাকের ডগায় উড়ছে মশা দেখছি তাদের মন দিয়ে ।
মাছি মারাই কাজ যে আমার মশা পেলেও মারব না,
মাছি মারার কায়দা জানি, মশার সাথে পারব না ।
এই তো সেদিন দুপুর বেলা বেয়ারা এসে হাঁক দিল ,
এসে গেছে অনেক মাছি বড়সাহেব হাঁকছিল ।
কোথায় গেল আলস্য আর কোথায় গেল ঘুমের ঘোর ,
মারব মাছি ছুটির পরে, শুরু হোল সে তোর-জোর ।
ছুটির পরে কায়দা করে দশটা মাছি মারার পর ,
মাথায় হল বেদম ব্যাথা, এসে গেল ভীষণ জ্বর ।
বাড়ি গিয়ে বদ্যি ডেকে পথ্য খেয়ে অতঃপর ,
সারল গিয়ে মাথার ব্যাথা, ঠান্ডা হল গায়ের জ্বর ।
পরের দিনে এসে দেখি অফিস জুরে হুলুস্থুল ,
সাহেব গেছেন ভীষন খেপে হুলোর মাথায় ভুলোর চুল ।
মাছির নাকি গোঁফ রয়েছে নাকের উপর খর খরে ,
হুলোর মতন লেজ রয়েছে লাফ দিয়েছে খুব জোরে ।
লাফের চোটে ফাইল ছেড়ে টাকের উপর যেই না বসা ,
মাছি কোথাও নেই রে তখন, হয়ে গেছে সে এক মশা ।
এসব নিয়ে নানান কান্ড হচ্ছে যখন অফিস জুরে ,
বিকট সুরে হাসছে তখন পাশের বাড়ির চারটে উড়ে ।
আমি তখন কাষ্ঠ হেসে বুঝিয়ে দিলাম পরিস্কার ,
এসব হচ্ছে পাগলা মতন বিঞ্জানীটার আবিস্কার ।
মাছির গায়ে মশার রক্ত এমন দেছে মিশিয়ে ,
যেই মেরেছি ফাইল দেখে রক্ত গেছে বিষিয়ে ।
আমার কোনোই নেই এতে দোষ
মাছিই যদি না হয় তবে ,
মাছি মারতে আমার কাছে পাঠিয়ে দিলে
এই তো হবে ।
ব্যাপারখানা বুঝতে পেরে সাহেব বলে চুলকে টাক,
বিঞ্জানীটা বেদম পাজী চাকরি যাবে তো তার যাক ।
মাছির গায়ে মশার রক্ত এ সব কথা শুনতে পেলে ,
পুলিশ এসে ধরবে আমায়, পুরবে আমায় কালকে জেলে ।
সেই থেকে ঠায় বসে আছি মশা পেলেও মারব না।
মাছি মারার বিদ্যা জানি মশার সঙ্গে পারবনা ।
No comments:
Post a Comment