শ্রীমতী
সান্ত্বনা চ্যাটার্জ্জী
আপনার কবিতার বই এর নাম ‘নারী তুমি কে”, নারী
তোমাকে নয়। অর্থাৎ নারীকে উৎসর্গ করা হলনা। নারী নিজে কী, সেটাই জানার চেষ্টা.৬৯
নং পাতায় যে কবিতাটা আছে সেটা যদি আলোচনা করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে কিছুটা অসংগতি
আছে। শুধু কন্যা, ভগিনী মাতাই তো নয়, “কামনার উৎস মুখে থাকতে হলে নারীকে তো
প্রেমিকা বা জায়া তো হতেই হবে। রবিঠাকুর লিখেছেন নারী “অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক
কল্পনা”। এই কল্পনা কি প্রেমিকার দ্যোতক নয়? তাছাড়া মাতা রূপে আপনি সন্তানকে ধরেন
ঠিকই কিন্তু ভগিনী রূপে?
‘এক দুই তিন’ (পৃঃ ৭৫) কবিতায় খুব সুন্দর ভাবে
আপনি লিখেছেন “এ জীবনে বাঁচাটুকুই দামী”। খুবই দামী কথা। আমিও বিশ্বাস করি তাই।
তবে বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার মধ্যে তফাত তো নিশ্চয়ই আছে। Existence আর being তো এক নয়। এই কবিতাটা একটা সত্যি গল্প মনে
করিয়ে দিল। আমার এক বন্ধু অবিবাহিত থেকে গিয়েছে। কারণ, একটি নারীর হাসি, আরেকটির
রূপ এবং তৃতীয়টির তীক্ষ্ণ অনুভূতি সে খুঁজেছিল একাধারে। মেলেনি এবং সে ও রয়ে
গিয়েছে অকৃতদার। কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিন জনের কথা, সে জানাল “বাজে কথার
সময় নেই”। সময়ের সাথে কাজের কথা ও কাজের মানুষীরাও কি বাজে হয়ে যায়? কে জানে ।
আমার বিশেষ করে ভাল লেগেছে
১) তোমায় মনে পড়ে
২) বোলোনা যাই
৩) জন্মদিন
৪) অযাচিত
৫) অভাব
৬) মেয়ে আমার
৭) আত্মজা
৮) দাদা
৯) যেদিন ছিলাম উনিশ কুড়ি
আর
১০) আমি ষোলোয়ানা পাঠক চাই
পাঠক হিসেবে আমি কেমন কে জানে, তবে আপনার
“শ্রেষ্ঠ কবিতায়” এ কবিতাগুলো যেন অবশ্যই চাই।
শুভেচ্ছান্তে
বিদ্যুৎ
কুমার বসু
২৯/০৪.২০১৫
No comments:
Post a Comment