Tuesday, December 30, 2008

তুমি আছ

অরন্য, পর্ব্বত, সাগর জল পার হয়ে
যেদিন তোমার দেখা পেলাম,
তুমি ছিলে প্রথম দিনের সূর্য্যের আলো থেকে শেষ বিন্দু জলে ।
রাতের আঁধার আর অরন্যের নিঃশব্দ সংকেতে,
ওতপ্রোতো মিশে ছিল
তোমার নিঃশাস ।
ভালোবাসা ফেলে এসেছিলাম মাতৃক্রোড়ে,
সহোদরের কোমল হৃদয়ে ফুটেছিলে শতদল মেলে,
সব ফেলে উর্ধশ্বাসে
খুঁজেছি তোমায় আসে, পাশে, সবখানে
বুঝিনি তো হৃদয়ের এক কোনে বসে আছ
শান্ত, সমাহিত ;
নীরব বিঃশ্বাসে ।

Tuesday, December 2, 2008

আর কত দূর

কতটা দূরে আছ তুমি

কতটা দূরে আশা !

আঁধার যেন জীবন জুড়ে

মরন ছুঁয়ে আসা ।

তোমার নামে অস্ত্র ধরে ।

জীবন চিড়ে রেখে -

হাজার মানুষ খুন করে সে

আল্লা নামে ডাকে ।

দাও কি সাড়া তাদের ডাকে

ছুঁয়েছ তাদের মন ?

তুমি কি তবে মৃত্যুর দুত-

দাও না জীবন !

আমরা যে চাই শান্তি-

চাই জীবন তোমার কাছে-

জীবন শেষের নৌকো তো এই ঘাটেই বাঁধা আছে ।

কেন তবে এই আয়োজন-

আগুন, ধোঁয়া কালো-

শয়তানের হাতে কেন

তোমার আশিস ঢালো ।

কোরান করে অপবিত্র-

খোদাকে বদনাম !

আর কতদিন থাকবে দূরে

এমন মৃয়মান ।


Monday, November 3, 2008

দেখেছ কি তাকে ফিরে যেতে


সে আসছে!

কত আশা , কত বিশ্বাস, কতোনা ভালবাসা

তোমার হৃদয় জুড়ে আছে ।

আগু পিছে নেই কেউ, তবু ঢেউ দেয় দোলা।

আমার হৃদয় জলে ভাসছে ।

কোন চোখে তুমি তাকে দেখ বন্ধু

কোন চোখে রাখ !

কোন উষ্ণ পেলবতা দিয়ে তুমি

তোমার প্রেমের ছবি আঁকো !

পুবের আকাশে তাকে দেখেছ কি কোনোদিন ভোরের সোনালি রং মাখতে !

মেঘের আড়ালে থেকে ডেকেছে কি ভালোবেসে

খেয়ালি সাতটি রং বুনতে !

বিকেলে সে অধোমুখে গোলাপী আঁচলে মুখ ঢেকে ,

দেখেছে কি ফিরে ফিরে,

পেরেছো কি তার কথা শুনতে ?

রাতের আগেই সে কি ঝরে গেছে -

পরে আছে পথে !

দেখেছ কি তাকে ফিরে যেতে !

তোমার হৃদয় তার পেয়েছে কি দেখা ,

বাড়িয়েছ হাত কোনোদিন,

যে হাতের ছোঁয়া লেগে মালা থেকে ফুল গেছে ঝরে ।

শুধু কাঁটা দিয়ে ,

গেঁথেছ কি মালা !

অবাক বিষ্ময়ে ,

বেদনার লাল রক্তে করেছ কি স্নান !

তবুও অম্লান ঐ প্রেমিক হৃদয় করেছে যে জয় ,

জলে স্থলে অন্তরীক্ষে শুধু দেখে আলো ,

যে আলোর পথ বেয়ে

ভেসে আসে প্রেম

তোমার জীবনে ফিরে ফিরে,

নতুন আলোয় দেখ ভাসছে,

সে আসছে ।।

Wednesday, October 15, 2008

হয়ত তার ও কিছু বলার ছিল

এখনি চাইনা যেতে ;
আরও কিছুক্ষণ,
থাকি মনে হয় তোমাদের মাঝে ;
মনে হয় ফাঁক রয়ে গেল ।
হলনাতো বলা সব
যা বলতে চাই ।
কত স্মৃতি, কত রূঢ়ভাষ-
ফেরাতে যে হবে মধুভাষে ।।
এত দীঘ পথ পাড় হয়ে এসে -
মনে হয় কিছুই হলনা দেখা ,
এক সাথে আরো কিছু পথ ,
চলা যেত ।
বলা যেত
আরো কিছু কথা ।।
সময় হয়েছে বুঝি শেষ !
তোমার চোখের কোল
ভিজে আছে জলে ;
কি করে যে যাই চলে
ফেলে রেখে সব ;
তবু এ বাস্তব - আজ,
আলো নিভে যাবে ।
কাল তুমি সঙ্গীহারা
একা অসহায় ।
কি করে যে যাই !
এত কথা বলবার শক্তি নিয়ে গেছে
মৃত্যুর দুত,
তবুও অদ্ভুত কোনো অলৌকিক হাত
দেখো ঠিক নেবে পথ করে,
আমার না-বলা কথা ,
বুক-চাপা আকুলতা,
পৌঁছে যাবে ভোরে
তোমার অন্তরে ।।

Monday, September 15, 2008

আমার আমি


সারাদিন এই গোলামী!
হাঁপিয়ে মরে ,
নিজের ভিতর গুমরে ফেরে
আমার আমি ।
রাত হলে তাই,
যা আছে তার মনের মতন
ভাললাগার স্বপ্ন যত,
তুলির টানে জাগায় তারে।
আমার আমি ।
সঙ্গী-সাথী, কোথায় এখন !
তারা সব নিদ্রামগন
সুখের রাতে ।
তোমাদের পায়না বলে
ভেবনা কো দূঃখী ভীষণ
আমার আমি ।
না পাওয়ার সুখ সে জানে
মনের টানে আসবে ঠিক ই
বন্ধু যত মনের মত
ফিরে ফিরে রোজ দুপুরে ।
দেখবে তারা তুলির এ টান
তখন হাজার কাজের ভিরে
তরঙ্গ সে ছুঁয়ে যাবে
জাগিয়ে যাবে মধুরে সুরে
হৃদয়বীনার একতারা টা
ভাসবে সুখে
আমার আমি ।।

জীবন


জীবন !
তুমি নও দুঃখজাত
তুমি নও বহমান চোরাস্রোত
মাটির গভীরে ।।
তোমাকে খুঁজেছি আমি সূর্য্যের আলোতে
সেই জীবনের ভোরে।
প্রবল প্রেমের শিখা জ্বেলে রেখে প্রাণে
দুরন্ত যৌবনে , লিখেছি তোমার কথা
গেয়েছি যে গান জীবন সায়াহ্নে -
চাঁদের কিরনে আর
প্রাণের ভিতরে ।।
দুঃখ্যের তীব্রতা আর ক্ষতের যন্ত্রনা যত,
বেদনার লাল রক্তে
চুঁয়ে চুঁয়ে পরে ।
সযত্নে মুছি সে রক্ত ;
জানি আছো তাই
রক্ত ধমনী তে ।
মুছে নিয়ে যায় যদি কালো হাত তার,
শত দুঃখ, শত প্রেম পারবেনা ছুঁতে ।
জীবন !
এখন তুমি শুধু যে আমার ।।

আমার বিশ্বাস


একটা দুটো কথা, কিছুটা দীর্ঘশ্বাস
তোমার বুকেও ঝড়
আমার বিশ্বাস ।
তবুও লুকিয়ে রাখা, তবুও থাকা দূরে
ঘাসের বুকে জ্বলে
শিশির রদ্দুরে ।
জানিনা কেন মন, হয়েছে চঞ্চল
তোমার চোখ আজ
করেছে বিহ্বল ।
যদিও যাবে চলে, নেবেনা বুকে টেনে
মন ভরেছে তবু,
জীবন জয়ের গানে ।
এখনও আছ কাছে, আমার নিশ্বাসে
গভীরে আছ ডুবে।
আমার বিশ্বাসে ।
একটা দুটো কথা, সঘন নিশ্বাস
পেয়েছ সাড়া প্রাণে,
আমার বিশ্বাস ।।

Monday, July 7, 2008

রূপকথা




ছোটোবেলায় রূপকথা বড় ভালোবাসতাম,
বলতাম খালি, বল, বল আর বল ।।
কেমন করে সে দুঃখী মেয়েটা
পার হয়ে রাতটাকে-
হঠাত সেদিন রূপসী রানীটা হল !
রাতের আকাশ ঢেকে দিল তার লজ্জা ,
তারারা ডেকেছে- ঝলমলিয়ে জ্বলো ;
কেমন করে সে দুষ্টু রাজা কে ছেড়ে,
একদিন একা পরীর দেশেতে গেল !
আজকে জেনেছি রূপকথা নয় সত্যি
আজ ও ঘরে ঘরে দুঃখী মেয়েরা কাঁদে
রাতের আকাশ ঢাকেনা তাদের লজ্জা;
দুঃষ্টু রাজারা আস্টে-পৃষ্টে বাঁধে ।
দূর থেকে তাকে পরীর দেশটা ডাকে,
হাতছানি দেয়, নিতে চায় তাকে কোলে
ওখানে যাবেনা, ওটা ঠিক নয়, পাপ হয় গেলে,

রাজার লোকেরা বলে...।

Tuesday, June 24, 2008

কাছে-দূরে

যেদিন তুমি অনেক দূরে,
কোথায় যেন হারিয়ে গেলে,
ভেবেছিলাম আছো কোনো তারার দেশে,
উজ্জ্বল এক তারা হয়ে -
মন বলতো, আমি ও আছি তারার আলোয় ঝল-মলিয়ে,
সেই আকাশের একটি কোনায় ।
বেদনার একতারাতে- একটু খুশীর ছোঁয়া লেগে,
দুতারাটা বাজতো যেন গুনগুনিয়ে- মনে মনে ।
যেদিন তুমি এলে ফিরে,
তোমায় ঘিরে স্বপ্ন যত,
হঠাত ভেঙ্গে খান খান,

আর মন আনচান, অবুঝ ব্যাথায়-
সুর ভুলেছে তার দুতারা-
বাজতে চায়না আগের মতন,
জাগতে চায়না স্পর্শে তোমার -
হৃদয় জুরে - অঙ্গে অঙ্গে,

দুঃখ-সুখের দোলায় আছে যে আনন্দ
যায় যে ভেসে স্পর্শে এসে .।।

Wednesday, June 18, 2008

সোনালী




যখন সূর্য্য ডোবার সময় হয়েছিল, সোনালী রদ্দুর বলেছিল-

এখনি যেওনা ছেড়ে, বড় ভালোবাসি-

আমার সকল দিয়ে ঘিরে রাখতে এ আকাশ ।

কিন্তু সে তো কবে ই শেষ হয়ে গেছে,

এখন গোলাপীর আলিঙ্গনে মুগ্ধ আকাশ

ফিরে ও দেখবেনা তোমাকে সোনালী;

হেসে বলেছিল সূর্য্য,

আকাশ তো আসবে ফিরে,

রাত্রির গভীরে- নীলিমাকে দিতে সান্ত্বনা,

তোমার সকাল তুমি রাখ যত্ন করে

ভোরের আকাশ ঘিরে তোমার আঁচল থাক

থাক চীর কাল ,

অমলীন, নীলের থেকেও নীল

ও ই পূর্বাকাশে

সোনালী রোদ্দুর হাসে ।।

Wednesday, June 4, 2008

ছবি কথা বলে

এ অরন্য, ও ই মেঘ, এ ই যে গাছের সারি,
ঐখানে এক পাতায় ঢাকা ছোট্টো কুঁড়ে বাড়ি,
চলনা যাই মেঘলা দিনে
বেড়িয়ে পড়ি পথে,
পোষাক-আসাক, তেমন কোনো
নাইবা নিলে সাথে
শুধু ই কেবল মেঘের চাদর

জড়িয়ে নিয়ে গায়ে,
অনেক দূরে ও ই যে নীল পাহাড় দেখা যায়
তার ছায়াতে নিজের ছায়া মিশিয়ে দেব আজ

চল না যাই বেড়িয়ে পরি - থাক পরে সব কাজ ।।

Sunday, April 13, 2008

বিরহ

কতো দিন যেন দেখিনি
সবুজ আর নীলের মাখামাখি
ঐ অনেক দূরে-
যেখানে আকাশ হয়েছে শুরু,
কতোদিন শুনিনি ডাক-
নিরাসক্ত নয় যেখানে
মেঘের দামামা আর
ঢেউএর গুরু গুরু।।
ভেজা মাটির গন্ধ, বেল, জুই, চাঁপা
কতোদিন বাসেনি ভালো কেউ,
অসীম শক্তি নিয়ে
আছড়ে পড়েনি ঢেউ
তীরের উপর ।
শুধু কষ্ট বুক চাপা-
মিথ্যা অভিনয়।
কতদিন যেন দিখিনি তোমায়
মনে হয় ।।

রাধা উবাচ


জল ছিলনা চোখে আমার-
পূর্ণ হয়নি আশা ?
তাই কি এত কঠিন আঘাত
চোখের জলে ভাসা ?
বুঝতে যদি কোন গভীরে
ডুব দিয়েছে মন ;
দেখতে পেতে এই এখানেই
রাধার বৃন্দাবন ।
চোখের জলের ভাষায় যদি
হয় এ প্রেমের জয়,
চাইনা অমন তুচ্ছ কিছু
এমন পরিণয় ।
তুমি আছ দাঁড়িয়ে যেথায়,
জগত সেখানে নেই,
চলেও যদি যাও হে প্রিয়
থাকবে এ প্রাণেই।
চোখের জলের পাওনি দেখা
পূর্ণ হয়নি আশা !
হৃদয় দিয়ে ঢেকেছি যে
তোমার ভালবাসা ।।

Friday, April 11, 2008

শূণ্য্য


শূণ্যতা
এত অপূর্ণতা কেন
জীবন জুরে থাকে?
খুঁজব কোথায়
কেমন করে পাব তাকে,
আকাশ ভরা সূর্য তারার
ফাঁকে ফাঁকে
যে পূর্ণতার আভাস মেলে
সব ফেলে আজ
তাকেই শুধু খুঁজি।
এ কেমন খেলা
মন আমার
তুমি খেলছে বল দেখি।
শূণ্য কে আজ পূর্ণ
বলে হচ্ছে মনে।
বনে বনে
পাতায় পাতায়
ফুলে ফলে
জলে স্থলে
কে যেন ডাক দিচ্ছে
আকুল স্বরে
শুণ্য হৃদয়
কার প্রেমে আজ
ভরল এমন করে !

Thursday, April 10, 2008

পদ্য

গদ্যময় জীবন্টাকে শক্ত মুঠোয় ধ'রে
ইচ্ছা যখন করে ,
পদ্য ভরা ছোট্ট ঘরে ,নরম স্নেহ ভরে
হৃদয় ডাকে সাড়া দিতে
কজন বল পারে ?

অনেক দিনের সাধ ছিল সেই ঘরের দ্যাখা পাই।

ঘর আছে তার অন্তরেতে তাই বুঝিনি হায়।

আজ বুঝেছি শত দুঃখে

স্বজন কেন গায়

নয় নয় এ কঠিন ঠাঁই ।।




গোপন কথা

এতদিন বলিনি কথা
যাইনি তোমার কাছে।
ভালোবাসার ফুলটি আমার
শুকিয়ে যায় পাছে-
মলিন নিঃশ্বাসে ।
তুমি জানো কি প্রিয়-
নীরবে ছিলাম কিসের আশ্বাসে ?

আমি চাইনি তোমার চোখে,
ডাকিনি তোমায় আমার গানে গানে –
তুমি বোঝো কি তার মানে ?
তোমার প্রেম গোপনে সুখে
লুকিয়ে ছিল আমার বুকে-
হারাই তাকে পাছে
অবিশ্বাসীর কাছে,
মলিন সুতোয় পাছে সে পরে ধরা!

প্রিয় তোমার প্রেম যে আমার
সকল বাঁধণহারা।
আকাশ জুড়ে ঐ যে মেঘের ঘটা,
দামামা গুরু গুরু।
প্রবল বারিধারার সাথে
হল যে আজ শুরু,
প্রকৃতির এই মিলন অভিযান ।
তারই মাঝে খুঁজে নিও-
আমার প্রেমের গান ।।

Wednesday, April 9, 2008

ইচ্ছা


এত যে চাই তাই
যাইনা কাছে, পাছে ওনিচ্ছাতেও
প্রকাশ করি - অপ্রকাশকে।
যাকে আমি রাখতে চাই ধরে
শুধুই আমার প্রণয়-বাসর ঘরে ।
বাইরে এনে তাকে, ফেলে ধুলোর পরে
মলিন আমি করবনাতো
যে আছে অন্তরে ।
জানি আমি আছি তোমার ঘরে
তুমি যেমন আছ আমার -এ অন্তরে ।
থেকো তুমি এমন ভাবেই
ইচ্ছা হয়ে আমার সকল জুড়ে-
আমার জীবন-গানের সুরে ।।

অপূর্ণ

আমার যে খুব ইচ্ছা করে

প্রবল ঝড়ের মত এসে

আবেগের ঢেউ-সমুদ্র-সমান কেউ

যেন ধরে বুকে -আমার শরীর।

অন্ধকার রাতে, তারার মতন

জ্বলবে হৃদয়।।

হারাবার থাকবেনা ভয়

আকাশের বুকে, লুকাবে সে সুখে

দিনের আলোয়, ক্ষীণ চন্দ্রালোকে

দেখাদেবে সুদূরের এ নীলিমায়।

সর্বগ্রাসী ,সর্ব্ব্যব্যাপী প্রেম-অপ্রেম

মিলে-মিশে হবে একাকার।

ভেদ কোনো থাকবেনা তোমার-আমার,

থাকবেনা ভয় কোনো চলার থামার।।

কোনোদিন কি হবে না পূর্ণ আশা?

অসীম শূণ্যের মাঝে

বাঁধবেনা বাসা।

যাবে নাকি নিয়ে সাথে করে?

আমার যে বড় ইচ্ছে করে !

Friday, February 22, 2008

নরক গুলজার

লাইফ হেল করে দেব, চেঁচিয়ে বলে নেতা
সামনে তার লাঠির গায়ে লাল পতাকা পোঁতা ।
গ্রামের যত জমি আছে সব আমারের নামে,
যাকে খুশি বিক্রী করব ,যেমন ইচ্ছা দামে ।
যুগ-যুগ ধরে আমরা বসে আছি গদীতে,
বিরোধীতা করো যদি, ভাসিয়ে দেব ন্দীতে ।
*******

মৃত্যুর এই কারবারীরা স্বয়ং থাকে নরকে
ছেলের রক্তে রাঙ্গিয়ে মাকে,

বলে, আমার থেকে ক্রুঢ়কে?
শযতানীতে বড় হবার টেক্কা কে আর দেবে!
নরকের ঐ নৌকা জানি পাপের ভারেই ডোবে ।
ভগবানকে মানেনাতো, শয়তানকেই ধরে।
নারকীয় জীবন নিয়ে ডগমগিয়ে মরে ।
মুখে বলে ভারতীয়, গলায় চীনের দড়ি,
গরীবের পার্টি এরা বানায় বাড়ি-গাড়ি।
সমাজের সকল স্তরে জাল বিছিয়ে রাখে ।
ভোটটা যে না দেয় এদের মার্কা করে তাকে ।
স্কুল-কলেজ আর হাসপাতালে কাডারদের ই চাকরী মেলে,
সাহিত্য ও শিল্পক্ষেত্রে এদের ই হয় জয়
থানায় বসা পুলিশগুলো এদের করে ভয়।
চুরি-ডাকাতি-খুন আর ধর্ষণ যে করে,
মাথায় করে রাখে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে।

এমন নরক কোনোখানে পাবেনা আর তুমি-
সে যে এদের বাংলা, সেযে সিপিএম এর ভুমি।

Sunday, February 17, 2008

বোলোনা- যাই

তুমি,
শুধু তুমি
চলে এস বারবার;
ভেঙ্গে ফেলে রুদ্ধ দূয়ার।
মাটি ফুঁড়ে, আকাশের বুক চিরে
সমুদ্রের তলা থেকে চলে এস ফিরে।
আগুনের কাছে । জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাক
যত আছে আশা। বুক জুড়ে শুধু থাক, থাক
ভাল্বাসা। বেদনা-বিধুর। রক্তের রেখা
দিয়ে লেখা থাক নাম তার- এই বুকে,
হে প্রিয়, তোমার চোখে যেন না
থাকে যন্ত্রনা । চাই না
সান্ত্বনা ।শধু বোলোনা
অমন করে,
বোলো-না
যাই ।

Tuesday, January 22, 2008

ছায়াসঙ্গী

আমি যাবনাতো সঙ্গে
তবু ফিরব সাথে সাথে।
ফিরব দিনে ফিরব রাতে
সকাল-দুপুর সাঁঝ-প্রভাতে,
দিবা স্বপ্ন হয়ে আমি
ফিরব আঁখির পাতে ।

আমি দেবনাতো ধরা
তবু ফিরব হাতে হাতে ।
লেখা হয়ে দেখা দেব
সবুজ পত্রিকাতে ।

আমি হাসি হয়ে পরশ করে যাব
-তোমায়-
বাতাস হয়ে করব আলিঙ্গন,
ঈর্ষা হয়ে জ্বলব
যদি দেখি কোনো সতীন আছি সাথে ।

আমি চাইবনাতো কিছু-
তবু কান্না হয়ে পরব ঝরে
যদি তুমি ফিরে না চাও পিছু ।

গভীর রাতে ফিরব তোমার বুকে
ফিরব চুপিসারে ।
মধুর হয়ে যাব মিশে-
প্রিয়, তোমার সুপ্ত চেতনাতে ।
তোমায় রাখবনাতো ধরে
তবু প্রেমের শিখা জ্বালিয়ে প্রাণে-
আশা হয়ে ফিরব প্রতীক্ষাতে

আশা ও ভালোবাসা

তুমি কেন তোমার মতন হলে
কেন ন-ও অন্য রকম
এ রকম প্রশ্ন কি করেছি তোমায় !

আমাকেও থাকতে দাও
আমার মতন হয়ে-
হৃদয়ের এক পাশে
চোখের কোনায় ।

তুমি যে তোমার মত- তাই,
বার বার দাও দূরে ঠেলে;
দুচোখ তোমার তুমি
রাখ বন্ধ করে ।
জান তবু তোমার আন্তরে
ব্যাকুল দু-চোখ মেলে
বসে আছি- লজ্জাহীন
দীনের থেকেও দীন
ভিখারির বেশে,
আশার প্রদীপ জ্বেলে ।

তুমি যে তোমার মতন
তাই ভালোবেসে
কাছে এসে নেবে বুকে তুলে-
আমার মতন এই আশা
বাঁচিয়ে রেখেছে ভালোবাসা

নিরালা

নিরালা এক ঘরের কোনায় ছিলাম বসে।
স্বপ্ন ছিল অলিক অনেক;
আশাও ছিল- তবু সে
সব ই ছিল ছাই চাপা
আগুন যেন। হঠাত্ সেদিন
ফাগুন মাসে ছন্নছাড়া
ঘরছাড়া এই পাগল হৃদয়
বিদায় দিল নিরালা কে ।

অনেক লোক, দৃষ্টি অনেক-
বৃষ্টি হল অনুকম্পা
ছিল যা সব
লুকিয়ে রাখা-
চক্ষুলজ্জার পর্দা ঢাকা-
দেখল অনেক চোখে ।

আমার হৃদয় দেখল তাকে
যাকে দেখার আশা
ছিল স্বপ্ন হয়ে আমার বুকে ।

নিরালা এক ঘরের কোনায় বসে আছি ।
শূণ্য হৃদয় পূর্ণ শোকে ।
বিদায় দিয়ে এলাম যাকে-
স্বপ্ন তার বন্দী আমার চোখে ।

Tuesday, January 15, 2008

ক্ষুদেনদী







ডিম‌্ ডিম‌্ ডিম‌্ মাদল বাজে
ক্ষুদে নদীর বাঁকে,
সুন্দরী লো সুন্দরী
সব নোলক দোলাও নাকে .
তির্‌ তির‌্ তির‌্ পাথর বেয়ে
নদীর ছুটে চলা ,
সুন্দরী তোর রূপের ছ্বটায়
বিবাগী মন ভোলা .
ঝিম‌‌্ ঝিম্ মন নেশায় মাতাল,
মাদল বাজার তালে,
সুন্দরী সব আয় ছুটে আজ
ক্ষুদেনদীর জলে ।

মাতাল আকাশ, মাতাল বাতাস
মাতাল নদীর জল।
মাতাল করা নাচের তালে
মাদলে তোল বোল ।
আগুন ঝরা ফাগুণমাসে
বনে বনে কি উচ্ছ্বাসে
ফোটে পলাশ ফুল,
পাষাণ বুকে মহুয়াফুল
দোলে দো-দুল দুল।
নেশা নেশা রঙিন চোখে
সুন্দরীলো তোকে দেখে
ভ্রমর হলো মন,
সুন্দরীলো বুকে এসে
মনের কথা শোন ।
ডিম্ ডিম্ ডিম্ মাদল বাজে
বুকে আমার ঝড়-
সুন্দরী লো কবে রে তুই
আসবি আমার ঘর !

ভন্ডামী




ভন্ডামীটা ঘোমটা মাথায়
বসে আছে অন্তরে,
বাইরে তবু লজ্জাবতী
কুলবধুর ভেক ধরে
ঠকাতে চাই জগতকে.

ঘরের মানুষ দোষ করেনি
মন্দ আমার অন্তরে
পরপুরষে মন মজেছে,
সাপ নচুনে মন্তরে
নাচাতে চাই মহত কে ।

Monday, January 14, 2008

তোমার চিঠি







তোমার চিঠি পাওয়া,
লাগল পালে হাওয়া,
মাঝ দরিয়ায় ভাঙ্গল মাঝির ঘুম ।

আকাশের বুক চিরে-
আলো ঝিলিক মারে-
বাজপরে আজ ভাঙ্গল কুঁড়েঘর
তীরের বুকে শব্দের তার প্রতিধ্বনি
গুম গুম গুম গুম
মাঝ দরিয়ায় ভাঙ্গল মাঝির ঘুম

নদীর বুকে জল
টলমল টলমল
নৌকোখানি ভাঙ্গল বুঝি ঝড়ে
-ও মাঝি তোর বৈঠাখানি শক্ত হাতে ধর
বৃষ্টি হল শুরু
দুরু দুরু দুরু
মেঘের বুকে ভয়,
জল মিশেছে জলে আজ
না জানি কি হয়

সন সন ঐ ঝড়রের সাথে
বাতাস বয়ে চলে
আছাড় খেয়ে পরতে নদীর জলে
তোলপাড় ঐ নদীর বুকে
বর্ষার মরসুম
মাঝিরে তোর এতদিনে
ভাঙ্গল কি কাল ঘুম !
উথাল পাথাল জলে
খোলা গগন তলে
আজ নিশীথে প্রকৃতিতে
মাদল বাজায় ঝড়
মাঝিরে তোর বৈঠাখানি শক্ত হাতে ধর ।

আকাশের বুক করেছে আজ
দখল মেঘের দল
নদীর বুকে ঢেউএর তালে
উঠছে নেচে জল
প্রকৃতিতে তান্ডব আজ
মিলনের মরসুম

এই অবেলায় মাঝিরে তোর
কে ভাঙ্গাল ঘুম !

শূণ্য থেকে শূণ্যতর




সময় যখন তোমার চোখে হারিয়ে যায়,
তখন প্রেমিক সে কি করে,
আর পড়েনা মনে ।

যখন চোখের কোনায় হাসির ঝিলিক
ঠোঁটে রাগের ভাষা,
তখন কোন আশাতে প্রেমিক প্রাণ
উথাল ভালবাসায়-
তাই বা কে জানে !

এখন শুধুই আকাশ দেখে ভয়ের বাড়ি ফেরা,
শূন্য থেকে আরো শূণ্য ভাবা ।
শেষের কাছাকাছি নাকি এখন-ও আছে বাকী
এ কল্পনা আর জল্পনা -
এখন শুধুই আর কিছুদিন
জীবন দেখার আশা ।।

মনের কথা


মনের কথা মনেই থাকে
জীবনমুখী ঢেউ ।
তবুও নতুন ছন্দছারা,
হারাণ সুরের গন্ধেভরা
আমার জীবন যন্ত্রনা বা
ভীষণ ভালোবাসার কথা,
শুনতে চায়না কেউ ।
*************

তুমি আসছ ফিরে আমার গানে,
আসছ ফিরে আমার প্রণে,
সেই তো পরম পাওয়া ।
কেউ যদি তা নাইবা শোনে,
নাই বোঝে তার মানে,
ব্যার্থ তবু হবেনা তো
আমার এ গান গাওয়া ।

*************
অনেকদিন-
মনে হয় আনেকদিন আগে,
হয়নি দেখা, হলনা দেখা
এমন দুঃখ জাগে ।
আজ এ- কোন
নতুন দিনের সকালে,
সোনার বরন সূর্য্য এসে
মনের ঘুম ভাঙ্গালে !

Sunday, January 13, 2008

-প্রেম-ভালোবাসা-পুরাতন কথা-

থমকে গেছে হৃদয় -
নাকি সময় আছে থেমে !
চারটি তারার মিলনে কি
বিজলি এল নেমে
বুকের মাঝে !
আকাশ পথে উল্কা যেমন পরে
একটি ভাঙ্গাঘরে-
তমনি ভাবেই হঠাত কি আজ
প্রেমের আগমনের ধ্বনি বাজে !
অবিশ্বাসীর জন্য এ ঘর নয়-
তাই বুঝি আজ ভালোবাসার
মাটির ঘরে-
ধরেছে রোগ ক্ষয়
একটু একটু করে
শেষ হয়ে যাক আশা
অলিক স্বপ্ন দিয়েই শুধু
ছিল যে ঘর ঠাসা
পুরানো সে মাটির বাড়ির নেইতো প্রয়োজন
-এখন শুধু নতুন বাড়ির
চলছে আবোযন.
মাটির সাথে মিশিয়ে যাবার আগে
দেখছিল সে পিছন পানে চেয়ে-
বিষন্নতা ছিল ছেয়ে
নি্র্জন সেই পথের মাঝে পরে
নীরবে সে বিদায় বুঝি চায়
পুরাতনের কাছে
তাই বুঝি আজ হচ্ছে মনে-
থমকে গেছে হৃদয়- নাকি সময় আছে থেমে ..

Tuesday, January 8, 2008

কবিতার প্রতি

কবিতা!
তুমি কি আমার সঙ্গী হবে ?
আমার বিষন্নতা ;
নির্জন দুপুরের মত-
খাঁ খাঁ মাঠের মত-
শ্মশাণের মতন শূণ্যতা
যদি তোমায় দিই
তুমি কি রাজি হবে !

কবিতা !
তোমার সরলতা মাখা
দুটি চোখের তারায়
হাড়িয়ে যেতে দেবে আমায়?
যদি বলি, শিশুর মতন
এস আমার বুকের মাঝে
তুমি কি বলবে আমায়
-ছাড় এ পাগলামি !

কবিতা !
মেঘের দেশে, সাগর পাড়ে
মাঠে -ঘাটে, মনটা যখন
ছোটাই তখন আসবে কি গো
চুপিসারে।
নারে নারে নারে বলে
পালিয়ে কোথাও যাবে নাতো !
বলনা আজ নতুন কোনো ছন্দভরে
তোমার ওপর ভরসা কোরতে পারি আমি ।

কবিতা!
শূণ্যতাটা উড়িয়ে দেব
আকাশপথে
কোনো মতেও যাবনা আর ফিরে ঘরে
এখন থেকে তুমি-আমি যদি হই
ছন্নছাড়া, বাঁধনহারা
তুমি কি রাজি হবে!

কবিতা !
বলনা আজ নতুন করে
তুমি আমার সঙ্গী হবে ।

তোমার স্পর্শ

রিণি রিণি সুরে
ঝিনি ঝিনি তালে
চিনি চিনি মনে হয়;

কে তুমি এসেছ
আজ এ দূঃসময় ?
এখন ও আমার হয়নি তো কাজ
এখন ও পায়নি ছুটি ।
সকল বাঁধন এখন ও যায়নি টুটি ;
চঞ্চল ঐ তোমার মনেতে
পেয়েছিলে বুঝি সাড়া -
আমার নয়ন এখন ও রয়েছে
তেমনি চন্দ্রাহারা !

তাই বুঝি এসে
দোলা দিয়ে গেলে প্রাণে !
তাইকি বন্ধু হৃদয় ভাসাও গানে !
হৃদয়ের ভার কেড়ে নিয়ে যাও-
সুরটুকু করে দান
দুর থেকে থাক চেয়ে ,
শিহরন লাগে হৃদয়ের মাঝে
এই পরিচয় পেয়ে ।।

বালম

বিকেলের রোদ মিঠে লাগে ভারি;
এস হে বন্ধু, এস তাড়াতাড়ি;
দেব বহুদূর পাড়ি ।
যান-বাহনের দেখা না যদি মেলে,
হাতখানি দিও এই হাতে ফেলে,
কল্পনা-রথ এখন ও করেনি আড়ি।

রোজ বিকেলের ফিরে ফিরে যাওয়া;
এক একটি দিন সাথে নিয়ে যাওয়া;
পাথর জমায় বুকে ।
হারিয়ে যাবার বাসনা কি শুধু
মিঠে বুলি বলা মুখে !

বন্ধু তোমায় কি নামে যে ডাকি !
স্বপ্ন তোমার কোন চোখে রাখি !
সাথী মোর ওগো কলম-
না জানুক কেউ, না চিনুক কেউ ;
ডাক দিলে ঠিক ঝরনা ঝরাও
কঠিন আমার বালম ।

বিদায় বেলা

কিছু বোলোনা তুমি
কিছু বোলোনা মন;
যদি ভুলতে চাও - তবে
ভুলো এ ক্ষণ ।
যা আসেনা ফিরে
শুধু কাঁদান সুরে
ধাঁধায় মন ,
তাকে ভোলো এখন ।

শেষ করতে চাও যদি
ভাঙ্গ এ খেলা;
ঐ আকাশ পারে
এত রঙের মেলা.
এ যে বিদায় বেলা-শুধু বিদায় বেলা ।

যদি ভুলতে চাও
ভুলো গোধুলি বেলা.
যদি ফিরতে চাও
ফির শূণ্য ঘরে,
ডেকনা ফিরে বিদায় দিয়েছ যারে
যদি ভুলতে চাও ব্যাথা দিয়েছ তাকে
ভুলো আমার এ মন।

যদি ভুলতে চাও
তবে ভুলো এ ক্ষণ ।

Tuesday, January 1, 2008

দাদা-ভাইএর কড়চা

দাদা:

আর বুঝি ফ্রন্টটাকে ধরে রাখা যায়না ,
ক্ষিতি আর অশোকের বড্ড বেশী বায়না ।
ফেমিলিতে বড়দাকে তো মানতে হবে, -তাই না!
কেবল বলে একলা যাব, সিপিএমকে চাইনা.

ভাই:

অনিলবাবু থাকলে হয়ত হতো একটা সুরাহা
বুদ্ধ-বিমান-বিনয় মিলে পারবে মনে হয়না ।

দাদা:

অনিলবাবু থাকলে বেঁচে গল্প হত অন্য,
বুদ্ধ-বিমান-বিনয় থেকে সিপিএম বিপন্ন ।

ভাই:

বলা যায়না, জোতিদাদা আসতে পারে,
বসতে পারে মিটিঙে।
সব ঝামেলা মিটিয়ে দেবে
দেখো একটা সিটিঙে ।

দাদা:

আরে বাবা এত সুখের মন্ত্রীসভায় থাকাটা
ছাড়তে পারলে বলব ওদের
মস্ত বুকের পাটাটা

একলা চলো একলা চলো- অনেকবার তো শুনলাম
না আঁচালে বিশ্বাস নেই -এই তোমাদের বল্লাম ।