মাথায় হাত, হতাশ নিরাশ্রয়
বসে আছে খোলা আকাশের নীচে,
চোখে দুঃস্বপ্নের ছবি
বুকে হাহাকার –বাপ তার রক্তে স্নাত
হারিয়ে গেছে পাঁচ হাত জমির তলায় ।
বিচার চাই! কারা ঐ হেসে ওঠে
পৈশাচিক বিদ্রূপের হাসি !
বোকা গ্রামবাসী, অভুক্ত, নাংগা
বেয়াদপ ,চোপ ।
চুপ করেই তো ছিল এরা এতদিন ।
বছর বছর যায়, চোখে জল, পেটে খিদে,
কি করে যে দিন কাটে কিসের আশায় ।
হটাত কার আশ্চর্য ছোঁয়ায়
নড়ে চড়ে বসে ছায়া গুলো
আমরাও মানুষ, আমাদেরও বুকের ব্যথা
ঐ ওদের সমান ।
কার ভরসায় নিষ্প্রদীপ প্রাণ গুল
উঁচু দিকে চায় –এখন
আমাদের ও এসেছে সময় ।
মানুষের মত বাঁচব এবার,
নিয়ে পরিবার ।
তবু কেন শুভ্র বেশ, পক্ব কেশ –
ছোট মাপের লোকটা গর্জায় –
কে কখন মরেছে কোথায় –
তার জন্য বিচার চায়!!
অর্বাচীন লোকটাকে বল ডেকে-
দিন পাল্টেছে,
এখন থেকে –বাঙালির কপাল লিখন
নেই তার হাতে ।
ধুতি কোঁচা সামলিয়ে –
যেন থাকেন তফাতে ।
বেআবরু করে দেবে দরিদ্র গ্রামবাসী ,
টেনে এনে ফেলবে রাস্তায় তাকে
যত আছে ভুখা বঙ্গবাসী ।।
Monday, August 15, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment