Friday, January 9, 2009
বকুল কথা
বল কতবার গেছি কাছে!
কতদিন, সে কি আজো তোর মনে আছে-
ওরে আমার বকুল গাছ ।
ফুলে-ফুলে ছাওয়া, বকুলের হাওয়া
শেষ তো হয়না, ভাঙ্গেনা সহজে
নয় নয় এ তো কাঁচ ।
এ যে আমার বকুল গাছ ।
কতখানি ছায়া, কতখানি মায়া
কত ভালবাসা দিয়ে,
তোমায়-আমায় পেতেছে মিতালী
জগত জানবে কি এ ।
তুমি কথাটি বলনা-
ভাবে লোকে -ভাবে ভুল।
কথা যে তোমার-
সুতোয় গেঁথেছি, বেঁধেছি বেনীর চুল ।
তোমার কথা যে- শুধু শুনি আমি,
কথা যে তোমার আমার বকুল ফুল ।
বকুল বকুল আরো কথা বল
বেলা হয়ে আসে শেষ।
পশ্চিম দেখ-
ধরেছে চিতার বেশ ।
শেষ বাসরের গানটি কি হবে
তাও তুমি দিও বলে ।
ঢেলে দিও ফুল, এমনি বকুল
এই বেলা শেষ হলে ।
তোমায়-আমায় ছাড়াছাড়ি হয়ে
যেইদিন যাব চলে-
শেষ শয্যায় গন্ধ-বকুল
বন্ধু দিও গো ঢেলে ।।
সভ্য সমাজ
দু-মানুষে মিল আর
অমিলেতে ভরা ।
মিলটা পড়েনা চোখে-
অমিল জগত-জোরা ।
গনিকাটি ক্রেতা ভেবে-
ঈশারায় ডাকে ।
সে বুঝি মানুশ ভালো
পড়েছে বিপাকে ।
ক্রেতা নয়, সভ্য যে মানুষ্টি তার,
লজ্জায় নুয়ে পড়ে ঘাড় ।
ভুল বুঝে পসারীনি দেহ ফিরে যায়;
লজ্জার নেই তার দায় ।
রাতের আঁধারে চেনা শরীর কে ঘিরে-
সভ্য মানুষ চায়-
গনিকা কে ফিরে ।।
যদি চাও তাই হবে
সন্ধ্যা
টুকর কথা- টুকর ব্যাথা
কেমন হয় সে দিন,
কেমন হয় সে রাত,
কেমন হয় সে পথ চাওয়া।
যেখানে হৃদয় দ্বারে
প্রিয় তুমি কর আসা যাওয়া ।
********
কি করে ভুলতে পারি,
কি করে ভুলতে পারি
ফেলে আসা অতীতের কথা ।
বন্ধু আজ হও গাছ,
আমি হতে চাই আশালতা ।।
**********
তবে কেন এসেছিলে কাছে ?
আছে আছে আছে
কেন হয়েছিল মনে-
বার বার।
অন্তর আমার তোমার অন্তরে ।
স্বপ্ন দেখা রাত-জাগা
পরিনাম তার বুঝি এই -
আবার ও কি বলতে হবে
নেই নেই নেই-
কিছু নেই ।
*******
মনের ঘরে উঁকি দিয়েও
নেই কো লাভ।
'আমি' তো আছে তোমার ঘরে-
আর এখানে-
শুধু তোমার অভাব
******
আকাশের ঘন-নীল ভেদ করে
যত যেতে চাই ।
সেখানেও আছে আজ-
শুধু নাই নাই ।।
*****
মেলাতে মেলাতে সুর
তোমার সাথে-
বীনা ছেড়ে একতারা-
নেমেছি পথে ।
*****
পথে পথে ঘুরে ঘুরে-
কাছে থেকে দূরে দূরে-
ভাল লাগে ফিরে ফিরে আসা ।
আশা করে আছে এইখানে-
স্থিরতার বাসা ।
Thursday, January 8, 2009
নতুন সুর্য্য
যাকে যখন যেমন
ভালবাসি-
অন্যরকম আর তা হয়না ।
হৃদয় নামক পদার্থটা
একান্ত নিজস্ব- তবু
আমাকে ছেড়ে ছুটেছে
যেন অশ্ব ডিম্বটা লুফছে
হাতে দূরের থেকে হবু
বরের মতন অপদার্থটা ।
গোলমাল সব পাকিয়ে
দড়ির মতন- মাথার চুল ঝাঁকিয়ে
ফেলে দিতে চাচ্ছি যত-
আঠার মত লেপ্টে আছে
চেপ্টে বুকের ভিতর- তত
আমি যাচ্ছি
মনে মনে তার কাছে ।
মাসি ,পিসি, রাশি রাশি
বন্ধু, দাদা, বইএর গাদা
সবার থেকে বাসছি ভালো-
কাকে যাকে ডাকে
ঠিক ভোরের আগে-
আমার চোখের আগে-
জলের দাগে, অনুরাগে
সুরে, তালে, ছন্দে আর রাগে ও সেই
দাঁড়িয়ে থাকে।
তোমরা বোধহয় জানো তাকে ।।
মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
রোদ হেসে যায়
যখন তখন
মনে পড়ে।
মনে পড়ে যেন কার
আসবার আশা-
এমনই প্রবল; তাকে
বাঁধ দেওয়া
নিছক দূরাশা ।
ঘন মেঘ ছায়া ফেলে
যখন সাগর বুকে,
বুঝিনা কে ডাকে কাকে ।
বুঝিনা যে উতরোল
উঠেছে আমার বুকে-
কেমনে থামাই তাকে ।
আকাশ ঢেকেছে মুখ
মেঘের অন্তরালে-
ঈর্ষাকাতর বুক-
প্রেয়সী সাগর জলে
ভাসায় চোখের জল ।
মনে আশা সেই জল
নোনা স্বাদ ফেলে
যাবে আকাশের কোলে,
মিশবে মেঘের সাথে
মিষ্টি বৃষ্টি হয়ে-
আসবে যকন ফের।
প্রতীক্ষার হবে শেষ-
সে দিনটি মিলনের ।।
মন উদাসী
ভাষাহারা কোন বেদনার রঙে রাঙাও হৃদয়।
গানে গানে কোন কথা বলে যাও
অচেনা ভাষায়,
কোন সুরে দাও দোলা-
ভয়লাগা শিহরণে
হৃদয় জাগাও !
পথ তুমি কোন পথে নিয়ে যাও
উদাসীন হাসিতে ।
কোন অজানার পথে নিয়ে যাও টেনে ।
দিশাহারা প্রাণে, জাগাও স্বপ্ন
যেন,
বালুময় সাহারায়
বৃষ্টির ধারা ।
ভাষা কোন যাদু মন্ত্রে তুমি
গেঁথে নিয়ে মালা
কাকে দাও উপহার।
হৃদয়ের ভার,
কোন ফুলে রেখে আস ফেলে ।
কোন প্রিয় তাকে
নেবে বুকে টেনে
কে নেবে বরণ করে
বরমাল্য তোমার
বল কাকে তুমি দিলে ।
Monday, January 5, 2009
Friday, January 2, 2009
ছায়া সঙ্গী
সহসা কোথা থেকে এলে ফিরে !
যুগ-যুগ পরে যেন উষ্ণ সেই কোমল হৃদয়
নরম দৃষ্টি মেলে দিলে ।
যেন একরাশ সাদা মেঘ শরত আকাশে,
এক পশলা বৃষ্টি যেন জৈষ্টের তাপিত হৃদয়ে ।
ছায়া ছায়া মুখ, ভাসা ভাসা কথা
প্লাবনের প্রায় ডোবাল আমায় ।
ভেবেছিলে কোনোদিনও, তোমার ঐ কায়া-
হারাবে যে তার পেলবতা,
কঠিন দৃষ্টি;
হবে রুক্ষ স্পর্শ তার
ক্রুদ্ধ হবে ভাষা !
বেল-কুঁড়ি তোমার প্রেমিক হৃদয়-
ক্যাক্টাসে হবে পরিণত !
শীতের সকাল আজ
পাতাঝড়া বেলা ।
ফিরে দেখি আজও আছ বেঁচে,
ছায়া হয়ে আজও চলো সাথে ।
আজ এই শীতের প্রভাতে
ডাক দিয়ে গেলে কেন
সেই চেনা স্বরে , চেনা নাম ধরে।