আমার এ ব্লগে প্রথম দিকে আমি একটি কবিতা বা ছড়া লিখেছিলাম 'পন্ডিত দূরে থাকো" - বলা বাহুল্য যে কেউ বাংলা শিশু কবিতা বা ছড়া লিখবে সে সুকুমার রায় বা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা অনুপ্রাণিত হবেই । আমিও হয়েছি আর কবিতাটি এ প্রকার-
পন্ডিত ডেকে বলে কি লিখেছ কবিতা
সেখালাম এত কিছু ভুলে গে লে সবই তা !
এখানে কমা , সেখানে দাঁডি
এবারে সেমিকোলন দাও
তোমাকে ক্ষমা কি করে করি ,
আমাকে জিনি ভোলেন যাও,
তার নাকেতে তাড়াতাড়ি মস্ত বড় দড়ি দাও
অর্থহীন শব্দ কথা, শব্দহীন অর্থ যত ,
এক হাঁড়িতে ঢাকনা দিয়ে
পাকাও কেন ইচ্ছা মত ?
মন বলে আমি অত ব্যাকরন মানিনা,
শব্দের মাঝখানে দাঁড়ি কমা টানিনা
পন্ডিত হতে আমি চাইনিতো কোনোদিন,
আমার এই মাথা জুরে শব্দের বিন্ বিন্
সেই সব শব্দকে টেনে এনে বাইরে ,
ছন্দের খাপে পুরে ভারি মজা পাইরে
ছন্দের ঘারে চেপে অর্থও আসবে
বের হবে বাহিরেতে যত ঝেড়ে কাশবে
শব্দই হাসে কাঁদে , শব্দই গান গায়,
শব্দের তালে তালে এ মনটা ভরে যায় ।
আনন্দে থাকা চাই একটাই এ জীবন-
পন্ডিত দূরে থাক সাথে নিয়ে ব্যাকরণ।।
[
ছড়াটা অনেকদিন আগে লিখেছিলাম, আমার ব্লগে- আজ হঠাত ওয়াশিংটন বাংলা রেডিও /Washington Bangla Radio ব্লগে ' আলকা সান্যালের লেখাটা দেখে আমার লেখক/কবি বন্ধুদের সংগে লেখাটা শেয়ার করতে ইচ্ছে হল ]
পণ্ডিত দূরে থাক- অলকা সান্যাল
পণ্ডিত দূরে থাক সাথে নিয়ে ব্যাকরণ
এ যেন কে খুলে নিল ভাষাটার আবরণ
শব্দরা কেঁদে মরে, ছন্দরা অসহায়
একটু যত্ন পেলে হেসে হেসে দোল খায়।
ভুলে গেলে চলবে না ভাষাটা যে মাতৃ
যে দেশেই থাকি নাকো আমাদের ধাত্রী।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি আমার লেখার ভিতরের মানে/spirit বোঝেন নি। আমার জানতে ইচ্ছা করে তিনি সুকুরমার রায়ের আবোল তাবোল, খাই খাই, হ য ব র ল পড়েছেন কিনা । পড়ে থাকিলে তাঁর "হাসছিল সজারু, ব্যাকরণ মানিনা" ইত্যাদি লেখার কি মন্তব্য করেছেন ।