Thursday, March 31, 2011

আমার গানগুলো

বীনা বা তানপুরা, গিটার বা এসরাজ
এ সব কিছুরই দরকার নেই ,
তাকে যদি গান গাইতে বলি,
শুধু মাত্র অঙ্গুলি হেলালেই ,
ঝর ঝর বৃষ্টি বা থর থর অধরের
ছবি এঁকে দেবে ;
যদি যাই নিরুদ্দেশে,
আপনমনে , নদী, সাগর, অথৈজলের মাঝে ,
তার রিনি রিনি সুরের ছোঁয়ায় ,
ঢেউ গুলো সব সাজে ।
আমার ভুল হয়ে যায় কাজে ,
যখন মনটা শক্ত করে ,
গানের থেকে অনেক দূরে ,
রান্নাঘরের তেলে ফোরন ঢালি ।
খুকুমনির গানটা তখন মনে আসে খালি ।
এমন যে গান সাদামাটা,
গভীরতার খোঁজ মেলেনা ,
কাঁচকলাতে আদাবাটা ,
তাকে কি আর গান বলা যায় ,
তবু কি আর করি ।
রুদ্রবীনা নাই বা বাজল,
অগ্নিসাজে নাই বা সাজল ,
তবুও যে গায় মন ।
গুনগুনিয়ে সুরে তালে ,
কাছে দূরে, দিনে রাতে ,
গাইছে সারাক্ষন ।
শেষের সে দিন হয়ত যখন পরদা টানা হবে ।
অন্ধকারে কালো কালো মাথা গুল –
সব হারিয়ে যাবে ।
গভীর এক শূণ্যতা ঘিরবে নাটকটাকে ।
কেমন করে গাইবে সে আর ,
কে ডাকবে তাকে ।
যেদিন আগুন ঘিরবে
আমায় নাচবে শিখাগুলো ।
সেদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে আমার এ গানগুলো ।

Tuesday, March 29, 2011

ভালবাসা কাছে এসে আমায় জাগাও

আমি দুঃখ পেতে ভালবাসিনা,
আমায় ভালবাসতে দাও ,
ভালবাসা, তোমার নরম হাতে উষ্ণ উত্তাপ ,
সেই তাপে আমায় পোড়াও ।
ভালবাসা কাছে এসে আমায় জাগাও ।
কাছে-দূরে, আসে-পাশে ,
রক্তের কনায় কনায়
নেচে ওঠো উদ্দাম উন্মত্ততায় ।
তোমার সাথে সাথে নাচুক হৃদয় ,
বেদনার নীল বিষ –
অশ্রু রাশি রাশি –
হয়ে যাক বাসী ।
নুতন লেখনী দিয়ে,
ভালবাসা বুকে নিয়ে ,
শত্রু মিত্র ভুলে ,
হৃদয়ের দরজা দেব খুলে ।
দখিন হাওয়ার সাথে এসেছিলে তুমি ,
থেক অন্তহীন চির অর্চিষ্মান ।
তোমার আলোতে প্রাণ হোক উজ্জীবিত ,
দুঃখকে পার করে, অন্ধকার ভুলে ,
ভালবাসা তোমাকে চাই শুধু ।
কোথায় আছ যে তুমি ,
এড়িয়ে বেড়াও ।
ভালবাসা কাছে এসে আমায় জাগাও

Sunday, March 27, 2011

তুমি আলো এনছ এই প্রাণে

তুমি আলো এনেছ এই প্রাণে
সকল অন্ধকার ছিন্ন-ভিন্ন করে
আলো হয়ে আস তুমি ।
হৃদয়ের যত যন্ত্রনা –
টুকর টুকর রঙিন আলোর বন্যা ,
ভাসিয়ে নিয়ে চলে আনন্দের,
খুশীর, ভালোলাগার ছোঁয়ায়,
মন-প্রাণ । কেন দুঃখ তুই থাকিস না আর,
তোর কালির টানে কবিতা আনে,
গানের খেয়া ভাসে তোর
গভীর গহীন কালো নদীর জলে ।
তলে তলে খুশীর ঢেউ
দোলায় নৌকাখানি। জানি
আমি জানি –আজ আমি নই রাধা।
বেদনার সাতপাকেতে বাঁধা ।
আজকে যেন বাঁধনগুলো আলগা হয়ে গেছে।
আছে আছে এইখানেতে আলোর বন্যা,
খুশীর সমুদ্দুর। আজকে আমার দুঃখগুলো
অনেক অনেক দূর।
তারা ভয়ে লুকিয়েছে এক কোনে ।
আজ যে তুমি এসেছ এই মনে ।।

Monday, March 14, 2011

কিশোরী প্রেম

তোমার কি সবটাই ঠাট্টা, সত্যি কিছুই নয় ।
কখোনো কি আমার কথা তোমার মনে হয় ।
সকাল বেলায় সুয ওঠার পরে \
নরম আলো যখন আসে ঘরে ,
উষ্ণ তোমার চোখ দুটোকে তখন মনে পরে ।
আমি হাসি অকারনে আপন মনে ।
বলি ওরে সোনার আলো ।
যে ঘরে সে থাকে –সেই ঘরেতে তোমার হাসি ঢালো ।
তোমার পরে নাকি মনে ;
তোমায় ভাল্বাসছে অখন কেউ ,
এই শহরের কোনো একটা কোনে ।
সারা বেলা ব্যাস্ত কাজের ফাঁকে
আমার মনটা হাতছানি দেয় যাকে ,
জানিনা সে কেমন করে লামায় ভুলে থাকে ।
বিকেল বেলার মিষ্টি রোদে গোলাপি রঙ ছড়ায় ,
ভুলেও তুমি দেখ কি আর চেয়ে ।
ওমনি করেই তোমার ছবি ভাসে
আমার হৃদয় ছেয়ে ,
পাখিরা সব যায় যে ফিরে নীড়ে ।
আঁধার নামে আমার দুচোখ ঘিরে ।
পাইনা তবু দেখা ,
কোন প্রাণে যে বন্ধু তুমি ফেরাও আমায় একা ।
রাতের বেলা একলা মনে রোজই তোমায় ডাকি,
তুমি শুনতে পাওনা তাকি !
আর কিছু না দিতে পারো স্বপ্নে আমার এসো ।
সত্যি যদি নাও বা পারো স্বপ্নে ভালোবেসো ।।

কল্পনা না সত্য

আকাশটার কত রঙ;
কখনো নীল, কখনো বা কালো।
মেঘে ঢাকা আকাশও দেখেছি , সাদা বা ছাই ।
বিকেলের গোলাপি আকাশ ,সাতরঙ্গা রামধণু –
মাঝে মাঝে তারও দেখা পাই ।
সেদিন এক যন্ত্রযান চেপে ,
গেছিলাম আকাশ সফরে ;
যন্ত্র আর আমি
ছুটে চলেছি কিন্তু রঙ কই !
আগু-পিছু, উঁচু-নিচু ডাইনে, বাঁয়ে
শূণ্য শূণ্য শূণ্য ছাড়া আর কিছু নেই ।
উঃ কি দূরন্ত গতি ,দুর্ব্বার আকর্ষণ-
ছুটে চলেছি শূণ্যের ভিতর,
বাইরে বললেই বা ক্ষতি কি !
সীমাহীন অনন্ত যাত্রার বিভীষিকা
বুকের যন্ত্রটাকে থামিয়ে দেবে নাকি !
প্রচন্ড ভয়ে হাতল চেপে গতি কমাই ,
নাড়া খেয়ে চোখ ধুলে দেখি ,
একি আমি তো আমার খাটে ।
জানলার বাইরে সদ্য
ভোরের আকাশের সোনার হাসি ,
নুতন দিনের কাছে বিদায় নিচ্ছে রাতবাসী ।

আমার কেমন সব গুলিয়ে গেল –
কল্পনা না সত্য-কোনটা ভালবাসি !!