Saturday, January 29, 2011

ইতি মনরঞ্জন দামে

ভুল হয়েছে নামে

সম্পাদক মশাই শুনছেন -
কিছু লিখেছিলাম ছোটো-খাটো
যেমন আমি মানুষটা ।
কিন্তু সে কথা-সমস্টি কানে ভালো লাগছিলনা
এ দিন ও দিক দু-চারটে
অলঙ্কার গোঁজা দিয়েও দাঁড়াচ্ছিল না
শক্ত মাটিতে দেখে তার পা-দুটি থেকে
খুলে নিলাম - আর শিকলছাড়া তার
ভয়ানক হাঁটা হাঁটি
এ দ্বারে ও দ্বারে ; ভালো নয় ভালো নয় ,
ভেবে বন্ধ খামে আপনার নামে ,
পাচার করেও ফিরল না দেখে ,
মনে আশা খুশী নিয়ে এ মাসের পত্রিকা
খুলে যে কি চমক - মশাই ,
ভুল হয়েছে নামটাই ।
সেই কথা-সমস্টির একটা দুটো
অলঙ্কার কম বেশী, ক্ষতি নেই -
ভুল হয়েছে নামে -লেখার উপর
আমার নাম 'মনরঞ্জন দামে'
নেই তাই , ও সম্পাদক মশাই ,
দয়া করে নিজ নাম কেটে
অধমের নাম দিন সেঁটে -

ইতি মনরঞ্জন দামে

Thursday, January 27, 2011

ইতিহাসের নতুন অধ্যায়

ইতিহাসের পাতা থেকে
যোধাবাই আমাদের বুকে আঁকা ।
তবু রিজওয়ানুর তোমায় মরতে হল ।
তুমি বুঝলেনা কোনটা কারন ধর্ম্ম না টাকা ।
যদি তুমি হতে মনজ বাজপায়ী
বস্তিবাসী !তবুও কিন্তু কসাইএর মুখে
ফুটতনা হাসি ।তুমি হতেই জবাই ।
এমনটাই হয় ।
তুমি নও নবাবের নাতি ,
নও তুমি বড়বাজারের
মস্ত ব্যবসায়ী
টাকার গদিতে বসে –
যে তুমি কিনে নেবে
শশুর-কন্যাকে ।
শুধু একবুক ভালবাসা আর
বিশ্বাস – তাতে কি হয় !
নিভে গেছে যে প্রদীপ
আলো জ্বেলেছিল দুটি প্রাণে ।
তোমার কবরে সে তো দেয় না গোলাপ ।
হায় কোন অশুভক্ষনে
হল যে আলাপ ,
মা তোমার আজও কাঁদে
বুক চাপরিয়ে ।
লেখা হয় ইতিহাসের আর একটি অধ্যায় ।

কেন আমার লেখা জীবন মুখী নয়

তোমাদের মাটিকে কি কঠিন করবে শুধু
কঠিন কথার সার দিয়ে ।
আমার জমিতে আমি ফুল যে ফোটাতে চাই-
শুধু কাঁটা নয়।
তাইতো তোমার মাটি আমার বাংলা মাটি নয় ।
কেন ফুল ফোটে, কেন ফুল হাসে ,
কেন মন আমার সুর-গন্ধময় !

এতদুর এসে গেছি জীবন ছাড়িয়ে –
আর তো যাবেনা ফেরা সে পথ মাড়িয়ে ।
যে পথে দুঃখ ফুল, বিদ্রুপ কাঁটা –
যেখানে রক্তঝরা একলাটি হাঁটা ।
সে-মুখী হবনা আমি আর ।
এখন শুধুই আলো আশার পাহাড় ।

শেষের মাটিতে আমি ফুল যে ফোটাতে চাই
ভালবাসা দিয়ে ।
শুধু কাঁটা নয় ।

Sunday, January 23, 2011

পাওয়া না-পাওয়া

কিছু না বলা কথা লাগে যে ভাল ,
যদি সে কিছু বলে ।
পথের ধুলাও লাগে যে ভাল ,
সে পথে যদি সে চলে ।
হলই বা সে অন্য কথা
অন্য রকম বলা ।
তার চলাটা না-হয় হল ,
অন্য পথে চলা ।
না পাওয়া পরশ জাগায় হরষ ,
পুলকে জাগে হিয়া ,
যদিও জানি মানি গো মানি
অন্য যে তার পিয়া ।
তার ভালবাসার ধরন খানি
পিয়ার মুখে চাওয়া –
তোমরা কি জান, কি সুখ এতে
এমন পাওয়া না-পাওয়া

Saturday, January 22, 2011

বিদায়

থমকে গেছে হৃদয় নাকি সময় আছে থেকে,
চারটি তারার মিলনে কি বিজলি এল নেমে বুকের মাঝে ।
আকাশ পথে উল্কা যেমন পরে
একটি ভাঙ্গা ঘরে-
তেমনি ভাবেই আজকে কি আজ
প্রেমের আগমনের ধ্বনি বাজে।
অবিশ্বাসীর জন্য এ ঘর নয় ।
তাই বুঝি আজ ভালবাসার মাটির ঘরে
ধরেছে রোগ ক্ষয় ।
একটু একটু করে শেষ হয়ে যায় আশা ,
অলীক স্বপ্ন দিয়েই শুধু
ছিল যে ঘর ঠাসা ।
পুরান সেই মাটির ঘরের নেই তো প্রয়োজন ;
এখন শুধু নতুন বাড়ির চলছে আয়োজন ।
মাটির সাথে মিশে যাবার আগে
দেখছিল সে পিছন ফিরে চেয়ে-
বিষন্নতা ছিল ছেয়ে
নির্জন সেই পথের মাঝে পরে ।
নীরবে সে বিদায় বুঝি চায়
পুরাতনের কাছে-
তাইতে কি আজ হচ্ছে মনে –
থমকে গেছে হৃদয় নাকি সময় আছে থেমে ।

Friday, January 21, 2011

বর্তমান

্প্রাণ চাইছে মন চাইছে চাইছে পাঁচটা ইন্দ্রিয়,
দিও দিও তোমার সকল আমার হাতে চুলে দিও
তীব্র এমন আকাঙ্খা এক কামড়ে ধরা কামের তাড়া
মিটবে না এ থামবে না কো নিভবে না এ তোমায় ছাড়া।
আমি হচ্ছি বর্তমানের প্রতীক পুরুষ তুমি নারী,
যে হও সে হও ছট বড় না পেলে কি ছাড়তে পারি ।

মনের লাগাম

লাগাম টেনে ধর বন্ধু লাগাম টেনে ধর
মনের কোনায় আপদ ঘুমায় এবার বিদায় কর।

পদ্মগন্ধী হৃদয় তোমার সুবাস থাকুক ছেয়ে।
আপন যে জন হবে না তার থেকোনা পথ চেয়ে।
কোনো এক অলস সময় পড়বে মনে যদি,
ভেবে নিও কাল যে ছিল আজ সে মরা নদী ।
জীবন তোমার নয় খেলাঘর, নেশার পাত্র নয় ।
অপাত্রে হে বন্ধু জীবন আর কোরো না ক্ষয় ।
দেবার পাত্র শেষ হয়েছে আর কিছু যে নেই ।
বন্ধু-জনের ঘর ভাঙ্গেনি মনের আশা এই।
বুঝতে আমায় ভুল কোরোনা, তাও বা যদি কর।
তবুও হে বন্ধু মনের লাগাম টেনে ধর।

সে

পিছন দিকে যায়না যাওয়া জানি,
কিন্তু তবু যদি বা যাওয়া যেত,
একই পথে যেতামি আমি ফিরে,
এই পথেতেই আসবে জানি সে তো।
পথের শেষে এসেই জানি তবে,
তোমার সাথে আমার দেখা হবে ।
তুমি-আমি দুই জনেরই সে,
পথের ধারে চোখ রেখেছে পেতে।
ভাল মন্দ হোক না যেমন তেমন,
বুকের মাঝে তাকেই হবে নিতে ।

জীবনের এক দুই তিন

কথা শুনে কাউকে লাগে ভাল
কাউকে দেখে নেচে ওঠে প্রাণ
কারুর সাথা করছি সহবাস,
কার উপরে করব অভিমান ।

তিনের মাঝে কোথাও সে নেই পুরো।
যেন খানিক মশলা করে গুঁড়,
ছড়িয়ে দেওয়া তিনটি রান্না পদে ।
তিনটির স্বাদ তিনভাবে নিই রোজ,
তিনজনেরই তিনভাবে নিই খোঁজ,
ভাবছ আমি পড়েছি বিপদে !
বিপদ-আপদ ভাবিনা আর আমি,
যা আসে তাই দু-হাত ভরে নিই,
এ জীবনে বাঁচাটুকুই দামী,
এতদিনে সার বুঝেছি এই।।



Thursday, January 13, 2011

দেখেছি তোমায়

আকাশের গায় ঐ তারাদের দেশে
আমি দেখেছি তোমায়
তোমার চুলের রাশি মেঘমল্লার ,
তোমার মুখের হাসি সাতনলী হার
ঐ রামধনু রঙ্গে আঁকা আকাশের গায়
আমি দেখেছি তোমায় ।

তুমি এক টুকর সোনালী রদ্দুর
ছুঁড়ে দাও রূপালী আকাশে ,
পাখীর ডানায় ভেসে দিন আসে ।
তার আসার পথে চোখ মেলে
আমি দেখেছি তোমায় ।

শুনেছি তোমার কান্না বর্ষার রাতে ,
বাউলের হাতে ধরা একতারাতে
তোমায় দেখেছি আমি হরিণের ,
চোখে তার কাজল কালোতে ।

নদীর এপারে বসে ওপারের ঘাটে
দেখেছি তোমায় .
পায়রার শুভ্রতায়, ঘাসের ডগায়
শিশিরের বিন্দুতে দেখেছি তোমায় ।

মায়ের বুকের কাছে সদ্যোজাত শিশু,
গির্জায় টাঙ্গান থাকা ক্রুশবিদ্ধ যিশু
মন্দিরে, মশজিদে, জলন্ত চিতায় ,
আমি দেখেছি তোমায় ।

Sunday, January 9, 2011

সে কোথায়

দূরের থেকে দেখলাম সে ও দাঁড়িয়ে আমার পথের ধারে ,
সে কি আমার আশায় ।
তাকে নিয়ে আমার ভাবনা যেন
নিভে যাওয়া প্রদীপের জ্বল্বার আশা ।
এর নাম ভালবাসা নয় দুজনার-
কেবল আমার ।
প্রকৃতির বুকে প্রেম নীরবে ঘুমায় ,
মাঝে মাঝে আকাশের বুক চিড়ে ,
পাখীর ডানায় ,
সাগরের ঢেউয়ে আর হাওয়ার দোলায় ,
অকারন আকস্মিক তার আগমন
শিহরণ তোলে তার রেশ রেখে যায় ।
মন কাঁদে মন হাসে ,
সে কোথায় সে কোথায় ।
এই ছিল বুকে এই চোখের তারায় ।
মন কাঁদে মন হাসে -
সে কোথায় সে কথায় ।

Wednesday, January 5, 2011

স্বাপ্নবিলাসী

কথায় আছে স্বপ্নবিলাসী। তা সবাই বলে আমাদের বিলাস রায় অরফে মন্টু এই খেতাপ সহজেই অর্জন করতে পারে । ছোটোবেলায় হাফপ্যান্ট পরা অবস্থা থেকেই মন্টুকে দেখেলেই আমরা বলতাম এই যে স্বপ্ন বিলাসী এসে গেছেন । তা মন্টু ঠাট্টা তামাশা গায় মাখতনা কোনোকালেই। স্বপ্ন দেখা অত সোজা নয় বুঝলি, স্বপ্ন দেখতে এলেম দরকার । আমি কি রকম টেকনিকালার স্বপ্ন দেখি তোরা জানিস! শুনলে তোরা হিংসায় কাঁচা পেয়ারা হয়ে যাবি । তোরা হাজার চেস্টা করলেও আমার মতন স্বপ্ন দেখতে পারবিনা, বুঝলি – অনুভুতি দরকার, বুঝলি অনুভুতি – তোদের মতন কেঠো পাজীদের কম্ম নয় ।

কেনরে বেটা ! কি এমন স্বপ্ন দেখিস, যে আমরে দেখতে পারবনা । রতন তো রেগে আগুন ,আর রঙিন স্বপ্ন দেখাটা কি এমন ব্যাপার, এই তো সেদিন আমি দেখলাম লাল সালোয়ার পরে পরী চলেছে রাস.. এয়, এয় শরু হল প্রেমাক্ষান- চুপ- চুপ কর বলছি –আমরা সবাই তেড়ে উঠলাম । সত্যি একে নিয়ে আর পারা যায় না, দেখ না দেখ পরী কে টেনে আনে । তুই বেটা পরীর স্বপ্ন দেখার কেরে ? তোকে পাত্তা দেয়? একবারো তোর দিকে ফিরে তাকায় ? ফেকলু কোথাকার । পরীর স্বপ্ন দেখতে হলে বিমান দেখবে , পরীর সংগে ।ওর হেভি ইয়ে, পরী এখান দিয়ে যাবার সময় আড় চোখে কেমন তাকায় দেখেছিস বিমানের দিকে ! ছটকু ফোরোন কাটে ।
বেটা বিমানের চামচা , আমাদের ভাল না লাগলেও কেউ কিছু বলিনা । কি করে বলব – বিমানের চেহারাটা দেখলে গলা দিয়ে আর কথা বেরোয় না। এই লম্বা, ইয়া চওরা বুক, একেবারে অরন্যদেব ;আমরা তো সব ছুঁচো ওর কাছে ।আমাদের কি ইয়ে আছে শালা যে পরী বিমানকে ছেড়ে আমাদের দিকে তাকাবে ।

মনে মনে বিমানকে পরীর সামনে এক চড়ে নর্দমায় ফেলে দিলাম । এ ছাড়া আর উপায় কি , আর কি বা করতে পারি । পরী আমাদের পাড়ার সম্পদ । যেমন দেখতে, তেমনি লেখাপড়ায়, তেমনি খেলাধুলায় , এক্কেবারে, সর্বগুনসম্পন্না যাকে বলে ।পাড়ার সব যোয়ান ছেলেদের বুকে পরীর নামে ব্যাথা আছে । আমার ব্যাথাটা অনেক গভীর, অনেক বড় ক্ষত ।এরা সে ব্যাথার কি বোঝে , এক একটা গন্ডার ।পরীর বাড়িতে একমাত্র আমার যাওয়া-আসা আছে, তাই এরা আমাকে অনেকটা সমীহ করে । পরীর ছোটোভাই এবার মাধ্যমিক দিচ্ছে, তাকে অঙ্কটা পড়াই আমি। আমাদের মধ্যে, ছটকুতো পানওয়ালা, গো-মুখ্যু আর বিমান অর্ধশিক্ষিত টাকাওয়ালা বাপের সুপুত্তুর , স্কুলের দশক্লাসের গন্ডী পাড় হয়নি । রতন গ্র্যাডুএট কিন্তু ওর বাবার সোনার দোকানে বসে । আমি আর মন্টু একসঙ্গে আষুতোশ কলেজ থেকে ফিজিক্সস অনার্স নিয়ে পাশ করে , কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল থেকে নাইটে এমবিয়ে করেছি । গত ছ-মাস ধরে বেকার ।

বিমানকে কিছু না বলার আরো কারন আছে ।ওর বাবা শালা প্রমোটার ,অনেক কালো টাকা পকেট সব সময় গরম। কারনে, অকারনে ধার দেয়, রেসটুরেন্টে নিয়ে খাওয়ার । এক্ষুনি দরাজ গলায় বল্ল –চল নবীনায় ম্যাটিনি শো-টা মেরে আসি । বিমান থাকলে আমরা কেউ পকেটে হাত দিই না । আজ আমার মুড নেই ।বললাম –না, রে তোরা যা , আমি আজ যেতে পারবনা ।

কেনরে তোর কি রাজকার্য আছে ?

তোরা তার কি বুঝবি রে, আকাট মুখ্যুর দল ! আমার আজ একটা চাকরীর ইন্টারভিউ আছে। বেশ গর্বের সঙ্গে কথাটা ছুঁড়ে দিয়ে আমি উল্টোদিকে হাঁটা দিলাম । মনটা শালা এখন নিমতিত । আমার তো সবি ছিল, শিক্ষা, পরিচয় , চেহারা –সবাই তো বলে আমাকে নাকি অনেকটা হৃতিকের মতন দেখতে । চাকরীও পেতে চলেছি । তবে আমি শালা বিমানের থেকে কম কিসে । যদি না ভগবান মেরে না রাখত । শালার ভগবান কি আর কোনো কাজ নেই, লোক বেছে বেছে বাঁশ দেওয়া ।আমার ইন্টারভিউ দুপুর আড়াইটে ।এখন বাজে দশটাচল্লিশ , হাতে অনেক সময় । ঘুরে আসবনাকি কবিরাজের কাছ থেকে । শুনলাম বেটার ছেলে ধন্বন্তরী, একটা ট্রাই নেব নাকি!

আরে , আরে, কে রে ধাক্কা মারছিস । চমকে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখি ,মন্টুটা দাঁত কেলাচ্ছে – হাঁফ নিয়ে বল্ল –কোথায় ইন্টারভিউ রে তোর ! কিছু বলিসনিতো আগে ! আমি ভয়ানক মুখ করে বললাম –যাচ্ছি একটা শুভ কাজে, দিলি তো বাধা শালা আহাম্মক । মারব পাছায় এক লাথি । মুখ কাঁচু মাচু করে মন্টু – রাগ করছিস কেন রে । জানিস তো আমার বাড়ির অবস্থা । ছোট বোনটা শালা রোজ বিনুনি দুলিয়ে, ব্যাগ ঝুলিয়ে আপিস যাচ্ছে । প্রেস্টিজে আলকাতরা । তোর ছোটমামা তো ইনফোসিস এ –একটু বলিস না আমার হয়ে । তুই না আমার হাফ-প্যান্টের ইয়ার ! স্বপ্ন-টপ্ন সব ছাই রঙা হয় গেছে রে , রং-টঙ সব মুছে যাচ্ছে ।থালার মতন গোল মুখটাকে যথা-সাধ্য করুন করল ।

আমি চোখ সরু করে দেখলাম ওকে । বটে, এই নাকি স্বপ্নবিলাসী ।বেটাচ্ছেলে ছ-মাসেই টেকনিকলার থেকে সাদা-কালোতে নেমে এসেছে ।জীবনে রঙ না থাকলে স্বপ্নে দেখেনা যে, সে আবার স্বপ্নের, অনুভবের রেলা নায় ।

আমাকে দেখ, দ্যাখ শালা আমার দিকে তাকিয়ে । আমি স্বপ্নে পরীকে দেখেছি, শালা আমার বিছানায় । আমি পেরেছিরে, স্বপ্নে পেরেছি রে শুয়ার । ঘুমের থেকে উঠে তোদের মতন পা-জামা কাচতে দিতে হয়না রে আমায়, তবু আমি স্বপ্নে পেরেছি রে শালা ।