বীনা বা তানপুরা, গিটার বা এসরাজ
এ সব কিছুরই দরকার নেই ,
তাকে যদি গান গাইতে বলি,
শুধু মাত্র অঙ্গুলি হেলালেই ,
ঝর ঝর বৃষ্টি বা থর থর অধরের
ছবি এঁকে দেবে ;
যদি যাই নিরুদ্দেশে,
আপনমনে , নদী, সাগর, অথৈজলের মাঝে ,
তার রিনি রিনি সুরের ছোঁয়ায় ,
ঢেউ গুলো সব সাজে ।
আমার ভুল হয়ে যায় কাজে ,
যখন মনটা শক্ত করে ,
গানের থেকে অনেক দূরে ,
রান্নাঘরের তেলে ফোরন ঢালি ।
খুকুমনির গানটা তখন মনে আসে খালি ।
এমন যে গান সাদামাটা,
গভীরতার খোঁজ মেলেনা ,
কাঁচকলাতে আদাবাটা ,
তাকে কি আর গান বলা যায় ,
তবু কি আর করি ।
রুদ্রবীনা নাই বা বাজল,
অগ্নিসাজে নাই বা সাজল ,
তবুও যে গায় মন ।
গুনগুনিয়ে সুরে তালে ,
কাছে দূরে, দিনে রাতে ,
গাইছে সারাক্ষন ।
শেষের সে দিন হয়ত যখন পরদা টানা হবে ।
অন্ধকারে কালো কালো মাথা গুল –
সব হারিয়ে যাবে ।
গভীর এক শূণ্যতা ঘিরবে নাটকটাকে ।
কেমন করে গাইবে সে আর ,
কে ডাকবে তাকে ।
যেদিন আগুন ঘিরবে
আমায় নাচবে শিখাগুলো ।
সেদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে আমার এ গানগুলো ।
Thursday, March 31, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment